ঘুরে দাঁড়িয়েছে রফতানি খাত
ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রফতানি খাত। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নভেম্বর মাসে রফতানি আয় থেকে এসেছে ৪১১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, যা গত অর্থ-বছরের বছরের নভেম্বরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
গত নভেম্বরের চেয়ে ৫৫৬ মিলিয়ন ডলার বেড়ে এ নভেম্বরে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।
নভেম্বর মাসে পোশাক খাতে আয় বেড়েছে ১৬.২৫ শতাংশ এবং রফতানি আয় হয়েছে ৩.৩০ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক খাত ছাড়াও অন্যান্য শিল্পেও রফতানি আয় উল্লেখজনক পরিমাণ বেড়েছে। হিমায়িত ও তাজা মাছ রফতানি ১৫ শতাংশেরও বেশি, কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য প্রায় ১৬ শতাংশ, ওষুধ শিল্পে ৫২ শতাংশেরও বেশি, প্লাস্টিক পণ্যে ৩২.৫৭ শতাংশ এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে।
এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১২৫ শতাংশ, প্রিন্টিং উপকরণে ১২০ শতাংশ, জাহাজ, নৌকা ও নৌ-যান উপকরণের রফতানি আয় সাড়ে ১০ হাজার শতাংশ বেড়েছে।
তবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের নভেম্বরে কাঁচ ও কাঁচের তৈরি পণ্য রফতানি কমেছে ৬৫ শতাংশ। প্রধান রফতানি খাতগুলোর মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে কমেছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের তিনটি বড় উৎস হলো পণ্য রফতানি, প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এবং বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণ। এর মধ্যে রফতানি ও প্রবাসী আয় বাড়লে বিদেশি মুদ্রার সংকট কমে।
সংবাদ সম্মেলনে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্টে শ্রমিক অসন্তোষের সময় ২৯৩টির মধ্যে মাত্র দুটি কারখানা বন্ধ ছিল। কারখানায় কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকলেও ওভারঅল সব কারখানার উৎপাদন ভালো করেছে, যার প্রভাব রফতানিতে ইতিবাচক ধারায় এসেছে। নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও রফতানি খাতে নভেম্বর মাসে ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং জুলাই-নভেম্বর সময়ে ১১ দশমিক ৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, রফতানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে।