জিটুজির ভিত্তিতে পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
জিটুজি অর্থাৎ গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট ভিত্তিতে পাকিস্তান থেকে আতপ চাল আমদানি করছে বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্যে গতকাল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান (টিসিপি) ও খাদ্য অধিদপ্তরের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়। অন্যদিকে একই দিন বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সৌজন্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক দ্বিপক্ষীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সভায় ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।
পাকিস্তান থেকে চাল আমদানিসংক্রান্ত চুক্তির বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করতে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টিসিপির চেয়ারম্যান সৈয়দ রাফিও বশির শাহ এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল খালেক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আমদানিসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান, পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী মো. শাকিল, হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফসহ উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ক্রয় কমিটির অনুমোদনের পর চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে আসতে শুরু করবে।
অন্যদিকে ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক দ্বিপক্ষীয় মতবিনিময় সভায় দুই দেশের ব্যবসায়িক নেতারা জানান, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পণ্য পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগে এ ধরনের ইতিবাচক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে সক্ষম হবে।
সভায় পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রচুর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভিসা প্রাপ্তিতে জটিলতা, শুল্কবিষয়ক প্রতিবন্ধকতা, পণ্য পরিবহনে সরাসরি যোগাযোগস্বল্পতা ও বন্দর সুবিধার অপর্যাপ্ততার কারণে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি, যার নিরসন একান্ত অপরিহার্য।’ এ সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি পিটিএ ও এফটিএ স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন।