করোনায় আয় কমায় পেশা বদল : মলমপার্টি চক্রের সাত সদস্য গ্রেফতার
ওরা কেউ ছিলেন দোকানের কর্মচারী, কেউবা ছিলেন অন্য পেশায়। করোনায় আয় কমে যাওয়ায় বদলে ফেলেন পেশা। নতুন কোনো কাজ না করে জড়িয়ে পড়েন অপরাধে। নাম লেখান ছিনতাই ও মলমপার্টির কারবারে। বাসে তাদের কার্যক্রমের একাংশের ভাগ দেওয়া হতো কন্ডাক্টরকেও। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই চক্র ও মলমপার্টির সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—চক্রের প্রধান হোতা স্বপন, ফিরোজ, মাসুদ রানা, শহীদুল ইসলাম, জাকির হোসেন জাকির, শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল ও হাবিবুর রহমান সিরাজ ওরফে সিরাজ মুন্সী। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় চারটি প্লাস্টিকের ছোট কৌটা ভর্তি মলম, ছোট একটি প্লাস্টিকের কৌটায় টাইগার বাম জাতীয় মলম, একটি স্টিলের ছোট কাঁচি ও একপাতা মাইলাম ৭.৫ এমজির ঘুমের ওষুধ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আগে অন্য পেশায় যুক্ত ছিল। কিন্তু আয়-রোজগার কম হওয়ায় ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দ্রুত বেশি টাকা আয় করতে যুক্ত হয় মলমপার্টিতে। আবদুল্লাহপুর বেঁড়িবাধ রোডের শিকদার এন্টারপ্রাইজের সামনে থেকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এদের গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো বলেন, অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা কেউ ১৪ বছর, কেউ এক-দুই মাস ধরে কাজ করছে। চক্রে এমনও সদস্য আছে যে আগে দোকানের কর্মচারী ছিল, কেউবা ফটোগ্রাফার ছিল। তারা কম পরিশ্রমে বেশি টাকা আয় করার লোভে এ পেশায় এসেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।