জামালপুরের সেই ডিসির বেতন অর্ধেক, পাবেন না পদোন্নতি
অফিসের একজন নারী পিয়নের সঙ্গে আপত্তিকর স’ম্পর্কে জড়ানোয় শা’স্তি হিসাবে জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের বেতন গ্রেড কমিয়ে দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
উপসচিব হিসাবে তিনি বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান। শা’স্তির কারণে তিনি এখন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন।
অর্থাৎ, সিনিয়র সহকারী সচিব পদোন্নতি পাওয়ার পর যে বেতন পান আহমেদ কবীর তাই পাবেন। তিনি উপসচিব পদে বহাল থাকলেও তার বেতন অর্ধেক কমে যাচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
জনপ্রশা’সন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ শা’স্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি যে অ’পরাধ করেছেন তা পুরো প্রশাসনকে কলঙ্কিত করেছে।
তার পরিবার ও সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা ও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই এ শা’স্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি আর কখনো পদোন্নতি পাবেন না। এই পদ থেকেই তাকে চাকরি থেকে বি’দায় নিতে হবে। বেতনও প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে।’
জানা গেছে, কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী গুরুদ’ণ্ড হিসাবে শা’স্তির যে বিধান রাখা হয়েছে এগুলো হচ্ছে : নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অ’পসারণ, চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ।
সবচেয়ে কম দণ্ডের শা’স্তিটি হচ্ছে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ। সেটিই দেওয়া হয়েছে আহমেদ কবীরকে। আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স’ত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাকে শা’স্তি দিয়ে প্র’জ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্র’জ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-এর বিধি ৪(৩)(ক) মোতাবেক গুরুদ’ণ্ড হিসাবে তিন বছরের জন্য নিম্নবেতন গ্রেডে অ’বনমিতকরণ করা হলো। আহমেদ কবীর উপসচিব হিসাবে বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান।
শা’স্তির কারণে এখন থেকে তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন। পঞ্চম গ্রেডে তার মূল বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এখন তিনি মূল বেতন পাবেন ৩৫ হাজার টাকা। স’ঙ্গে সংগতিপূর্ণ অন্যান্য ভাতা-সুবিধা পাবেন।
জামালপুরের ডিসি থাকাকালে অফিসের অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামে একজন নারীর সঙ্গে আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ’ড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিষয়টি জানাজানির পর ব্যাপকভাবে স’মালোচনার মুখে তাকে ডিসি পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।