যারা জয় বাংলা মানে না তারা বাংলাদেশকে মানে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
যারা মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা 'জয় বাংলা'র মতো জাতীয় স্লোগান দিতে অস্বীকার করে তাদের সমালোচনা করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘জয় বাংলা স্বাধীনতার স্লোগান। বাংলাদেশের জন্মের স্লোগান। আমাদের এই স্লোগানকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে অস্বীকার করে, জয় বাংলা বুকে ধারণ করে না। এই গোষ্ঠী দেশের স্বাধীনতাকে কখনোই মনে প্রাণে মানে না। এই দেশে যারা জয় বাংলা মানে না তারা বাংলাদেশকে মানে না৷ এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ প্রাঙ্গণে চেতনায় মুজিব কেন্দ্রীয় পরিষদ আয়োজিত ‘নতুন প্রজন্মের ভাবনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে তরুণ প্রজন্ম নেতৃত্ব দিবে। প্রযুক্তি আমাদের জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে৷ ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের বড় চ্যালেঞ্জ।
তাজুল ইসলাম বলেন, জ্ঞান অর্জন আমাদের সবাইকে মানুষ হিসেবে শাণিত ও সমৃদ্ধ করে৷ নতুন প্রজন্মের জন্য জ্ঞান অর্জনের পথ আরও সহজ হয়েছে৷ এখন স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের মাধ্যমে দুনিয়ার যেকোনো বই পড়া সম্ভব৷ একই সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহারের বিষয়ে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য জাতির পিতা সারাজীবন লড়াই-সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতেন। তার চিন্তা-চেতনায় ছিলো মানুষের কল্যাণ। একই ভাবে তার সন্তানরাও সেই মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯-২০২২ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ২১০০ ডলার বেড়েছে। মানুষের এই উন্নতি সারা পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সেন্ট্রাল উইমেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মহি উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্তসহ কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।