রাস্টন মিয়া গাজীর ‘স্বপ্ন’ পূরণ করলেন এনামুল হক শামীম এমপি
শরীয়তপুরের সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের পশ্চিম ঢালী গ্রামের বাসিন্দা রাস্টন মিয়া গাজী। ৬ সদস্যের সংসারে আয়ের একমাত্র অবলম্বন ছিল তার একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (অটোবাইক)। ঋণের টাকায় কেনা সেই অটোবাইকটি গত মঙ্গলবার ৬ জুলাই ২০২১ইং তারিখ রাতে চুরি হয়ে যায়। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ে রাস্টনের পরিবার।
বিষয়টি নিয়ে অসহায় রাস্টন মিয়ার ছেলে আবজাল গাজী ফেসবুকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দেয় গত বুধবার ৭ জুলাই ফেসবুকে রাস্টন মিয়ার ছেলে আবজাল গাজী লেখেন, ‘আমার বাবা, অটোরিকশা (ইজিবাইক) চালিয়েই আমাদের সংসারের ঘানি টেনে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই সম্বলটাও নিজেদের বাড়ির সামনে থেকে কারা যেনো নিয়ে গেছে। এভাবেই জরাজীর্ণ জীবন। আর এই অটোরিকশাটাও ঋণের টাকায় কেনা ছিলো। কিছু দিন আগে নতুন ব্যাটারিটাও ধারের টাকায় কেনা। এখন পথে নামা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। বশির মাস্টার কাকার বাড়ির পাশে রেখে প্রতিদিনের ন্যায় আজও বাবা বাসায় যান, কিন্তু ফিরে এসে দেখেন অটোবাইকটি নাই। কী করবো, দিশেহারা। একটা গাড়ি একটা স্বপ্ন। গাড়ির চাকাটা থেমে গেছে। এবার মনে হয় স্বপ্নটাও থেমে যাবে!’।
এ স্ট্যাটাসটি দেখে শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার বিকালে ভেদরগঞ্জ বাজার থেকে রাস্টন মিয়ার পছন্দমতো ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দামের একটি নতুন অটোবাইক কিনে দেন।
উপ-মন্ত্রীর পক্ষে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চরভাগা ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সিকদার অটোবাইক ও চাবি বুঝিয়ে দেন রাস্টন মিয়াকে। এছাড়াও দুর্দশার কথা শুনে রাস্টন মিয়ার সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্বও নেন উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
আবেগে আপ্লুত হয়ে রাস্টন মিয়া বলেন, আমাগো মন্ত্রী এনামুল হক শামীম সাবের জন্য দোয়া করি। আমি ও আমার পরিবারের সবাই তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আল্লাহ তার ভালো করুক।
এদিকে নতুন অটোরিকশা কিনে দেওয়ায় উপ-মন্ত্রী শামীমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে আবজাল গাজী আবারও লেখেন, ‘ধন্যবাদ এ কে এম এনামুল হক শামীম ভাই, মাননীয় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী, এমপি শরীয়তপুর-২। আমার বাবার অটোরিকশা (ইজিবাইক) গতকাল চুরি হয়ে যাওয়ায় আমি ফেসবুকে ঘটনাটি নিয়ে কয়েকটা পোস্ট দেই। আমি ও আমার পরিবারের সবাই ভেঙে পড়ছি। এই ঘটনা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নজরে এলে তিনি নিজে থেকে আমাকে একাধিকবার ফোন দেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এমন এমপি, মন্ত্রী সর্বত্র বাংলায় হোক, তাহলে তো সোনার বাংলা হবে। যারা আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সবারই খোঁজ খবর রাখেন। ধন্য এমন জনপ্রতিনিধি পেয়ে।’