South east bank ad

অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি

 প্রকাশ: ০১ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জনপ্রতিনিধি

বৈশ্বিক মহামারী করোনা বাংলাদেশেও ছোবল হেনেছে। করোনায় অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন, অসুস্থ হয়েছেন। করোনা শুধু জীবনের ওপর নয়, জীবিকার উপরও আঘাত হেনেছে। করোনার কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন, অনেককে পেশা পরিবর্তন করতে হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েছেন কেউ কেউ। এ সময় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি।

গোপালগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক খান ও তার পরিবারের পক্ষে কাশিয়ানী-মুকসুদপুরের প্রায় ১৫ হাজার অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে খাদ্যসামগ্রী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে জরিপের মাধ্যমে প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিতদের তালিকা করে সেই অনুযায়ী সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
করোনা মহামারীর শুরু থেকে মুহাম্মদ ফারুক খানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। খাদ্য সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের সার্বিক বিষয় তদারকি করেছেন ফারুক খান এমপির মেয়ে ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক কানতারা খান।

শুধু কাশিয়ানী-মুকসুদপুরের অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াই নয় ঢাকা ও সাভারে অবস্থানরত অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি। ফারুক খান যখন জানলেন সাভারে অবস্থানরত কাশিয়ানী-মুকসুদপুরের বেশ কিছু অসহায় পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে তখন খাদ্য নিয়ে ওই সমস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান।

গোপালগঞ্জ -১ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না। সরকার অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। আমরাও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছি।

তিনি বলেন, অতীতে সরকার এবং আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে ছিলো, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমি আমার নির্বাচনী এলাকা মানুষের পাশে আছি। প্রতিনিয়ত করোনা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

তিনি বলেন, আমরা করোনার শুরু থেকেই জনগণকে সচেতন করতে পেরেছি। কিন্তু বিশ্বের অনেক শক্তিশালী অর্থনীতির দেশও সেটা পারেনি। ফলে আমাদের এখানে মৃত্যু হার কম। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিশ্বনেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এজন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হওয়া চাই। আমাদের অভিভাবকদের বলবো- ছেলে-মেয়েদের সোনার মানুষ হিসেবে তৈরি করেন। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে এগিয়ে নেবে, নেতৃত্ব দেবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের বিরাট জাতিতে রূপান্তর করে গেছেন। কিন্তু আমরা বাঙালিরা নিজেদের ছোট মনে করি। এই হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ‘কিসিঞ্জার বলেছিলেন, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু তার কথা ভুল। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এই করোনাকালেও চীনে রিলিফ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের জন্য সাহায্য-সহযোগিতার হাত প্রশস্ত করা, সবই বাংলাদেশ করেছে।

গোপালগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান প্রসঙ্গে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার বলেন, মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদ। তাকে দেশপ্রমিক, রাজনীতিবিদ, নেতা, রাজনৈতিক কর্মী, সংগঠক, অসাম্প্রদায়িক মনোভাব, উদারতা যে দিক দিয়ে বিবেচনা করা হোক না কেন সকল বিবেচনায় অনবদ্য, অসাধারণ ব্যক্তি এবং সৎ চরিত্রের অধিকারী একজন সফল সংগঠক। একজন ব্যক্তির যে সকল গুনাবলী আদর্শ মানুষ, সফল রাজনীতিবিদ ও জনগণের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তার সকল গুণাবলী বিদ্যমান রয়েছে তার মধ্যে। অহংবোধ, প্রতিশোধ পরায়নহীন মনোভাব, বলিষ্ট চরিত্রের পাহাড়সম দৃঢ়তা তাকে গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে। রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার পথ পরিক্রমায় বিভিন্ন প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার দুঃসাহসিক দৃষ্টান্ত রয়েছে তার রাজনৈতিক জীবনে।

BBS cable ad

জনপ্রতিনিধি এর আরও খবর: