ঘূর্ণিঝড় 'জাওয়াদে' উপকূলবাসীর মাঝে আতঙ্ক: আজও ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাঁধ- চলছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা)
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ভারতের উড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের দিক থেকে গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে সাগরের পরিস্থিতি হয়েছে উত্তাল। দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে সকাল থেকে। এমন অবস্থায় সতর্ক সংকেত বাড়িয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্নিঝড় 'জাওয়াদ' আরও উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন রয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- এটির নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়টি দুপুর ১২টার পর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার এবং পায়রা সুমদ্র বন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
অন্যদিকে- ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সময়ের বন্যা উপকূলবাসীকে আজও কাঁদাচ্ছে। তবুও স্থায়িত্ব ও মজবুত বেরিবাধ নির্মাণ হয়নি সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা বরগুনায়। বন্যার কোন আভাস ছাড়াও গুড়ি বৃষ্টি ও বাতাসে উপকূলবাসীর মনে আতঙ্ক বিরাজ করে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। উপকূলবাসী জানেন না এ আতঙ্ক থেকে কবে নাগাদ রেহাই পাবে!