শিরোনাম

South east bank ad

খুলনার বিলডাকাতিয়া জলাবদ্ধতা নিরসনে নেয়া প্রতিটি প্রকল্পই ব্যর্থ !

 প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জনদুর্ভোগ

শেখ হেদায়েতুল্লাহ, খুলনা

খুলনা জেলার ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলা শহরাংশের কিছু এলাকা নিয়ে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমির বিল ডাকাতিযায় ৮০’র দশকেও ফসল হতো তিনটি। ১৯৮৪ সালে বন্যায় বিল ডাকাতিয়া অঞ্চল প্লাবিত হয়। তারপর থেকে তিন যুগের বেশি সময় ধরে এখানকার অধিবাসীরা চরম দুর্ভোগে রয়েছে। সরকারের নেয়া একের পর এক প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে নষ্ট হয়েছে শত শত কোটি টাকা।

বিলডাকাতিয়ার বেশিরভাগ অংশ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা এলাকা জুড়ে। ৮০’র দশকে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ৯০’র দশকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে মানুষ বিলটিতে জোয়ারাধার চালু করে। পরবর্তিতে আবার কেটে দেয়া বাঁধ বেঁেধ দেয়া হয়। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়ণে কেজেডিআরপি (খুলনা-যশোর পুনৃবাসন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প বাস্তবাযন করা হয়। বিলডাকাতিয়ার ২৩টি খালের পানি হামকুড়া নদীতে নিস্কাশিত হতো। কিন্তু হামকুড়া নদীর এখন অস্তিত্ব নেই। বর্তমানে হামকুড়া নদী খনন কওে জোয়ার ভাটা চালু করার কোন বিকল্প নেই।

১৯৮৪ সালে তৎকালীন শাসক এরশাদ সরকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬৮ কোটি টাকার প্রকল্প করে গ্রহণ করলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ইমার্জেন্সি অ্যাকশন প্ল্যানের আলোকে ১৯৯২-৯৩ সালে খুলনা-যশোর নিষ্কাশন পুনর্বাসন প্রকল্প ( কেজেডিআরপি) নামে ২২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। ওই প্রকল্পেন আওতায় ৩০ কিলোমিটার নদী খনন, ৫৫৫ কিলোমিটার খাল খনন, ১১১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, কালভার্ট নির্মাণ করা হয় ৩৮টি, ফুটব্রীজ নিমার্ণ করা হয় ৩০ টি। এছাড়া আরও কিছু স্থাপনা তৈরি করা হয়। এছাড়া ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লু গোল্ড নামে একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও মানুষের তেমন কোন কাজে আসেনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম জানালেন, বিলডাকাতিয়া অতিগুরুত্বপুর্ণ একটি বিল। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় এক হাজার ৮০০ কেটি টাকা একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রৃনালয়ে অনুমোদেনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রায় ১ লাখ একর জমি ফসল আবাদের উযোগী হবে যাতে প্রায় দেড় লাখ টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হবে।
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা , খুলনা কোতয়ালী, যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলা প্রায় ৮ লাখ জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ বিলের সাথে যুক্ত। তিনি জানান, কেজেডিআরপি (খুলনা যশোর নিস্কাশন পূর্নবাসন প্রকল্প ) নামে যে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় তা জনগণের তেমন কল্যাণ বয়ে আনেনি।

অপিরিকল্পিত উন্নযন ব্যয়ে সরকারের অর্থের অর্থের অপচয় হয়। তাই কোন প্রকল্প গ্রহণকালে সুদুর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গ্রহণ করা উচিৎ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বিলডাকাতিয়া এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ড এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক’র সহযোগিতায় খুলনা যশোর নিস্কাশন পূর্নবাসন প্রকল্প নামে একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ওই প্রকল্পেন আওতায় ৩০ কিলোমিটার নদী খনন, ৫৫৫ কিলোমিটার খাল খনন, ১১১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, কালভার্ট নির্মাণ করা হয় ৩৮টি, ফুটব্রীজ নিমার্ণ করা হয় ৩০ টি। এছাড়া আরও কিছু স্থাপনা তৈরি করা হয়। উদ্দেশ্য এলাকার ৮ লাখ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন। ২২৯ কেটি টাকা এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়।

BBS cable ad