কম্বোডিয়ায় পাঠিয়ে সাইবার ক্রীতদাস বানানো চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
চাকরির নামে কম্বোডিয়ায় সাইবার ক্রীতদাস হিসাবে মানবপাচারকারী চক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আটক এই ব্যক্তিকে চক্রের অন্যতম মূলহোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে র্যাব।
আটক ব্যক্তির নাম মো. হারুন মিয়া (৫৪)। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব জানিয়েছেন।
তিনি জানান, হারুন কম্বোডিয়ায় উচ্চ বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরির জন্য মানুষকে প্রলুব্ধ করে। কম্বোডিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে তারা ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে থাকে। তারপর তাদের বিমানযোগে কম্বোডিয়ায় পাঠানো হয়।
অধিনায়ক জানান, কম্বোডিয়ায় যাওয়ার পর হারুন মিয়া ও তার সহযোগী কম্বোডিয়া প্রবাসীদের সহায়তায় প্রথমে ভিকটিমদের কম্বোডিয়ার একটি হোটেলে নিয়ে যায় এবং তাদের কাছ পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সেই হোটেলে কিছুদিন অবস্থান করার পর তাদের কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য একটি বিদেশি ট্রেনিং সংস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিদেশি প্রশিক্ষকরা ভিকটিমদের গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছদ্মনামে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে অন্যদের কিভাবে প্রতারণা করা যায়, ভুয়া ক্লোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা আত্মসাৎ করার কৌশল, চ্যাটিং করে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার নাম করে কৌশলে ডিপোজিট হাতিয়ে নেওয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভয়েস কল ও ভিডিও কল রেকর্ডিং করে পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আত্মসাৎ করার কৌশল শেখানো হয়।
র্যাব অধিনায়ক আরও জানান, সাইবার প্রতারণার কাজে বাংলাদেশিদের ব্যবহার করার কারণ হচ্ছে কোনো বাংলাদেশি কম্বোডিয়া যাওয়ার পর তার পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিলে সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হবে না বা স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করতে সক্ষম হবে না। বাংলাদেশি ভুক্তভোগীরা উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে পড়ে তার পরিচিতজনদের মাধ্যমেই দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা দেশে ফিরে বাংলাদেশি দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হলেও, কম্বোডিয়া প্রবাসী দালালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়।
হারুনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে র্যাব।