South east bank ad

বালুখালীর অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১১ রোহিঙ্গার পরিচয় মিলেছে

 প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

বালুখালীর অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১১ রোহিঙ্গার পরিচয় মিলেছে

কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। আহত ৫'শতের অধিক। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৯ হাজার ৩'শতের বেশি বসতি। ঘর ছাড়া হয়ে পড়েছে ৪৫ হাজর মানুষ। ১৩৬টি লার্নিং সেন্টার পুড়ে গেছে। ৩ হাজার ৮'শর অধিক পরিবার ক্যাম্প ছেড়ে অন্য স্থানে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।

এখনও নিখোঁজ রয়েছে শিশুসহ ৪'শর অধিক রোহিঙ্গা। ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গাদের জন্য প্রাথমিক ভাবে ৮'শত তাবু দিয়ে শেল্টার নির্মাণ করা হবে। স্থানীয়দের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা ও ৫০ মেট্রিক টন চাল। স্থানীয়দের যাদের ঘর পুড়ে গেছে তাদের তাবু নয় ঘর দেয়া হবে, তালিকা তৈরীর অপেক্ষায়। রোহিঙ্গা শিবিরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নিয়মিত খবরা খবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকালে কক্সবাজারে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোহসিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

অগ্নিকান্ডে ৮ ওয়েস্ট, ৮ ইস্ট, ৯ ও ১০ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে ৯ নাম্বার ক্যাম্পের-৯৪টি ব্লকের মধ্যে ৮৬টি ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ক্যাম্পে মারা গেছে ৫ রোহিঙ্গা।

আর ৮ওয়েস্ট ক্যাম্পে ৪টি ব্লকে-২৭টি সাব ব্লকের ৩ হাজার ঘর পুড়ে যায়। ঐ ক্যাম্পে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে অসংখ্য শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ।

ক্যাম্প ৮ ইস্ট ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে মারা গেছে এক রোহিঙ্গা।

নিহত রোহিঙ্গাদের ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন সলিম উল্লাহ (৫৫), রফিক আলম (২৫), আবদুল্লাহ (৮), আসমাউল (৭), মিজানুর রহমান (৪), বশির আহমদ (৬৫), খতিজা বেগম (৭০), মো. একরাম (৩), এমদাদ উল্লাহ (২৪), তসলিমা (৪), মোশারসা (৩)।

এছাড়াও অসংখ্য এনজিও’র অফিস, হাসপাতাল, লার্নিং সেন্টার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় ক্যাম্পের ভিতরে থাকা স্থানীয়দের ৫'শতাধিক বাড়ি, ১২'শর বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ঘরছাড়া এসব রোহিঙ্গারা বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়, টিভি রিলে কেন্দ্র সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্প, কুতুপালং, লম্বাশিয়া, মধুরছড়া, ময়না ঘোনা, জামতলী, তাজনিমারখোলা, শফিউল্লাহ কাটাসহ পাশ্ববর্তী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: