South east bank ad

সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে দলে অনুপ্রবেশকারীরা: অধ্যক্ষ শাহ আলম

 প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে দলে অনুপ্রবেশকারীরা: অধ্যক্ষ শাহ আলম

এস এম আনোয়ার ( উখিয়া, কক্সবাজার ) :
উখিয়ার হলদিয়া পালংয়ে ইউনিয়নে সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামীলীগের বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীরা ও প্রতিপক্ষরা।

উখিয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এইসব কথা বলেন উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলম।

এইসময় তিনি বলেন, আমি নৌকার চেয়ারম্যান হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসাবে সততার প্রতীক আমার বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী পরিষদের সচিবের সহায়তায় এলাকার প্রচুর উন্নয়ন সাধন করি। অথচ প্রতিপক্ষরা হলদিয়ার উন্নয়নে বিভ্রান্ত হয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যে, আমার ভাই দেশে না থাকায় আর কোন উন্নয়ন কাজ করতে পারবো না। আমার ভাই দেশে না থাকলেও তার যোগ্য উত্তরসূরি দেশে রেখে গেছেন বলাতে আমার প্রতিপক্ষরা আমার বক্তব্যকে অসম্পূর্ণ ও ইডিট করে অনলাইন মিডিয়া ও দৈনিক পত্রিকায় মিথ্যাভাবে প্রচার করে প্রশাসনকে আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

তিনি সারা হলদিয়ায় সরজমিনে ঘুরে দেখার চ্যালেঞ্জ করে বলেন, মাঠে আমার কোন বদনাম আছে কি না আপনারা দেখুন। উখিয়ার অন্যান্য ইউনিয়নে নির্বাচনের কোন খবর না থাকলেও হলদিয়াপালং ইউনিয়নে দু’জন প্রার্থী মাঠ গরম করে সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে হলদিয়া শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে। তারা মাঠে ময়দান বক্তব্য দিচ্ছে তফসিল ঘােষণার পর আমাকে ঘর থেকে বের হতে দেবে না । এখন থেকে আমার লোকজনকে গালিগালাজ ও মারধর করার হুমকি দিচ্ছে , ভোট জোর করে আদায় করে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, আমি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদ-পদবীর মাধ্যমে দলীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমি উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এছাড়াও নৌকা মার্কায় চেয়ারম্যান হিসাবে এলাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিত্ব করি। তাই আমার ভোট কেউ কাটতে পারবে না , প্রশাসনের লােকজন নৌকার মার্কার ভােট পাহারা দিবে। যে গুন্ডা ফান্ডারা ভোট ডাকাতির কথা বলতেছে তারা সরকারী বাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী নয়।।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের আমার প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসাবে মাঠে থাকা একজন আমিন মেম্বার গতবার নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে ছিলো। অন্যজন ইমরুল কায়েস চৌধুরী ও তার বাহিনী ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে নৌকায় ভােট দেওয়ার অপরাধে আমার আমার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে হিন্দু পল্লীতে আগুন দিয়েছিল, লুটপাট চালিয়ে ১৫ দিন যাবৎ তাদেরকে অবরােধ করে রেখেছিল । যার আঘাত এখনাে মানুষ ভুলে নাই । তাছাড়া তার পিতা মাহমুদুল হক চৌধুরী বিগত ১৯৯৯ সালে বিএনপির ৫ চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে উখিয়া থানা ছাত্রলীগের ১৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকে গুলিবৃদ্ধ করে আহত করেছিল । তারা মূলত আওয়ামীলীগ বিদ্বেষী ও দলে অনুপ্রবেশকারী লােক।

সবশেষে আমি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলম বলতে চাই, আমার দীর্ঘ দিনের দলীয় ভাবমুর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কু- মানসে ও আমার জনপ্রিয়তা দেখে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে ঘায়েল অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । আমি একজন খেতাবধারী শহীদ পরিবারের সন্তান, আমার বড় ভাই শহীদ এটিএম জাফর আলম স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম শহীদ। আমার অপর বড় ভাই শফিউল আলম সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব, দীর্ঘ ৩৫ বছর সরকারের বিভিন্ন পদে গুরুদায়িত্ব সততা ও সুনামের সাথে পালন করে গেছেন। আমার পরিবার প্রশাসন বান্ধব পরিবার। আমরা সবসময় প্রশাসনকে সহযােগিতা করে আসছি। প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে আমরা কোন অপকর্ম করেনি, যা প্রশাসনের লােকজন ভালো জানে । আমরা প্রশাসনের লােকজনকে সর্বোচ্চ সম্মান নিয়ে কথা বলি ও কাজ করি । যেহেতু প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা আমার ভাই ছিল সে বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ ছিলাম, আছি ও থাকবো।

এইসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: