শিরোনাম

South east bank ad

পঞ্চগড়ে বিলুপ্তির পথে কাউন চাষকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা

 প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

পঞ্চগড়ে বিলুপ্তির পথে কাউন চাষকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা

মোঃ লিহাজ উদ্দিন (পঞ্চগড়):

আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুন নতুন ফসল উৎপাদনের ফলে উত্তরের কৃষি সমৃদ্ধ জেলা পঞ্চগড়ে কাউন চাষ বিলুপ্তির পথে। এক সময় এ ফসল কৃষকরা চাষ করত মুলত তাদের খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য। ভাদ্র,আশ্বিন ও কার্তিক মাসে যখন কৃষকের ঘরে ধানের টানাপোড়ন দেখা দিত ঠিক তখন তারা ধানের ভাতের আদলে কাউনের ভাত খেত। এ জেলায় এক সময় বছরে একবার ধান চাষ করত। তাই কাউনের কদর একটু বেশিই ছিল। কালের বিবর্তনে এক ফসলী জমি এখন তিন ফসলী জমিতে রুপান্তরিত হয়েছে ফলে কৃষকের অভাবও অনেকাংশ লাঘব হয়েছে। দারিদ্রসীমার চরম শিখর থেকে উত্তরনের ফলে এবং একই জমিতে বছরে দুবার ধান উৎপাদনের কারনে এ জেলার কৃষক কাউন চাষ থেকে সরে এসেছে। এখন আর মাঠ ভরা কাউন ফসল চোখে পড়ে না। গম,ভুট্টা,তিল,মুগডাল,বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি,টমেটো,বেগুন,শিম এবং মরিচ ক্ষেতের মাঝে হটাৎ কিঞ্চিত কাউন ফসল উঁকি মারে। তবে কাউন ফসলের চাষ কম হলেও এর দাম কিন্তু ঢেড় বেশি। প্রতি কেজি কাউনের চাউলের দাম ৭৫থেকে ৯০টাকা। এই চাউল এখন বড় বড় হোটেল-রেস্তোরা ও ধনীদের ঘরে পায়েস হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। আটোয়ারী উপজেলার যুগিকাটা গ্রামের কৃষক উজ্জল চন্দ্র জানান,আমি শখের বশে এক শতক জমিতে কাউন চাষ করেছি নিজে খাওয়ার জন্য। বাপ দাদারা বহু বছর ধরে এ কাউনের আবাদ করে আসছে। এখন তো কেউ কাউন করেনা। আমি আবার এটাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। পঞ্চগড় সদর উপজেলার শিং পাড়া গ্রামের কৃষক নুরল জানান, আমি প্রতি বছর অল্প করে হলেও কাউনের চাষ করি। এবার আমি ১০শতক জমিতে কাউন চাষ করেছি। বাজারে কাউনের বেশ চাহিদা বিক্রি করতে কোন অসুবিধা নাই। নিজের খাওয়ার ও আগামী বছরের বীজের জন্য রেখে বাকিটা বিক্রি করব। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে জেলায় এবার মোট ২৫ হেক্টর জমিতে কাউন চাষ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,পঞ্চগড় এর উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,কৃষক বেশি লাভের আশায় ভিন্ন ভিন্ন ফসল চাষ করেন। তবে এখন কাউনের চালের চাহিদা বাড়ায় কৃষক স্বল্প পরিসরে হলেও কাউন চাষ করছে,আমরাও কাউন চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করছি।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: