South east bank ad

মাদারীপুরের শিবচরে করোনা আইসোলেশন সেন্টারে একসাথে ২০ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব

 প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

মাদারীপুরের শিবচরে করোনা আইসোলেশন সেন্টারে একসাথে ২০ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব

এস এম আরাফাত হাসান (মাদারীপুর):

পর্যাপ্ত হাই ফ্লো নেজাল কেনোলো থেরাপি সিস্টেম, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিনসহ অক্সিজেনের পর্যাপ্ত সুবিধা নিয়ে শিবচরের বিশেষায়িত করোনা আইসোলেশন সেন্টারটিতে একসাথে ২০জন করোনা রোগীর চিকিৎসার সামর্থ্য রয়েছে। ইতোমধ্যে এ আইসোলেশন সেন্টার থেকে ৫০ রোগী উন্নতমানের চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখন এই আইসোলেশন সেন্টারে আশপাশের জেলা-উপজেলার করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তখন শিবচরকে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন ১৯ মার্চ করোনা প্রতিরোধে জরুরী সভা করে বিকেল থেকে শিবচরকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। যা দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম লকডাউন। তখন থেকে ঘরে ঘরে খাবার সহায়তাসহ লকডাউন বাস্তবায়নের কঠোর হুশিয়ারি দেয়া হয়। করোনা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য শিবচরের দক্ষিন বহেরাতলা ‘হাজী আবুল কাশেম উকিল মা শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’কে ২০ শয্যার বিশেষায়িত আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি। তখন তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন ও উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করেন। আইসোলেশন সেন্টারে ৩টি হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলো থেরাপি সিস্টেম, ৭টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন ( অক্সিজেন জেনারেটর), ১২টি পালস্ অক্সিমিটার, ইনফ্রাডার থার্মোামিটার, ৪০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ৫টি থার্মাল স্ক্যানারসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করেন। এছাড়াও ফ্রিজ, এসিসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে চিকিৎসক ও নার্সসহ স্টাফের জন্য ডরমেটরির ব্যবস্থা করেন। পদায়ন করা হয় ২ জন চিকিৎসক, ২ জন নার্সসহ ৭জন স্বাস্থ্য কর্মী। ১০ দিন পরপর স্বাস্থ্য কর্মীরা পরিবর্তন হয়ে ১৪ দিন হোটেলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। এই আইসোলেশন সেন্টার থেকে ৫০ জনেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা: শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোস বলেন, ‘করোনা রোগীদের জন্য হাইফ্লো অক্সিজেন খুব জরুরী। আমাদের এখানে একসাথে ১৫-২০ জন রোগীর চিকিৎসা দেয়ার সক্ষতা আছে। চীফ হুইপ স্যারের এ উদ্যোগটি দেশের করোনা রোগীদের চিকিৎসায় একটি দৃষ্টান্ত। তিনি সার্বক্ষনিক এটির খোঁজ-খবর রাখেন। প্রতিনিয়ত মেশিনারিজ সংযোজন করার ব্যবস্থা করেন। তিনি আমাদের আশ-পাশের জেলা উপজেলার করোনা রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’

জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি বলেন, ‘করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখানে হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলো থেরাপি সিস্টেম, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন ( অক্সিজেন জেনারেটর), পালস্ অক্সিমিটার, ইনফ্রাডার থার্মোমিটার, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার সংযোজন করা হয়েছে। এখানে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন, খাবার, নিরাপত্তা সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ-পাশের জেলা-উপজেলার করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউনের নিয়মকানুন মেনে চলার আহবান জানাচ্ছি।’

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: