ব্রিজথেকে লাফিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যার চেষ্টা
এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক, (নেত্রকোনা):
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ব্রিজ থেকে লাফিয়ে এক কিশোরীর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গতকাল (৬ মার্চ) রবিবার সকালে সোমেশ্বরী নদীর বিরিশিরি ব্রিজে এই ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে ঐ কিশোরীকে উদ্ধারের পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েযায় স্থানীয় ব্যক্তি ও পুলিশ সদস্যরা।
ঐ কিশোরী নাম ফাতেমা আক্তার জয়া (২৪) বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। পাশাপাশি ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার নবী হোসেনের স্ত্রী বলেও একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে কীভাবে এই কিশোরী দুর্গাপুরে এসেছে এবং তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বিরিশিরি ব্রীজের উপরে হঠাৎ একটি কিশোরীকে পায়চারি করতে দেখেন স্থানীয়রা । হঠাৎ কোন কিছু বোঝে উঠার আগেই ঐ কিশোরী ব্রিজ থেকে লাফিয়ে নিচে পড়েযায়। স্থানীয়রা দ্রুত ব্রীজের নিচে ছুটে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।
পরে পুলিশ ঐ কিশোরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েযায়। ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করতে গেলে কথিত ফাতেমা বাহিনীর বাধার মুখে পড়েন সংবাদকর্মীরা। সংবাদকর্মীর ব্যবহৃত ক্যামেরা/মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায় ফাতেমা আক্তারের বড় মেয়ে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে ডান হাতের উপরে এবং কমরে মারাত্মক জখম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এদিকে আরেকটি ভিডিওতে স্থানীয়দের সাথে ঐ কিশোরীর কথোপকথনে জানিয়েছেন সে ঢাকা থেকে দুর্গাপুরের ফাতেমার কাছে আসছিলো। তবে কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এব্যাপারে কিছুই বলেনি সে।
দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, কিশোরীর প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। এই কিশোরী একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে। তবে কি কারণে এই আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলো তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ ঢাকা থেকে কাজের কথা বলে দুর্গাপুর এনে স্থানীয় ফাতেমা আক্তারের বাসায় আটকে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ তুলেছেন বিথী নামের আরেক কিশোরী।
ঐ কিশোরী ফাতেমা আক্তারের বাড়ী থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। এছাড়াাও অভিযোগ রয়েছে পৌর শহরের মাঝে অনৈতিক কাজের আস্তানা খুলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কথিত ফাতেমা আক্তার। স্থানীয়রা এই নিয়ে আন্দোলন মানববন্ধন করেও কোন প্রতিকার পায়নি।