ডিসির নির্দেশে কমলো রূপসা ঘাটের ট্রলার ভাড়া
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
হঠাৎ করে ৩ টাকার ট্রলার ভাড়া ৫টাকা করায় অস্বস্তিতে পড়ে ছিলেন রূপসা ঘাটের সাধারণ যাত্রীরা। বিষয়টি খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানার পর ট্রলার ভাড়া কমানোর নির্দেশ দেন।
যে কারণে আজ সোমবার (১৪ মার্চে) সকাল থেকে ট্রলার ভাড়া কমিয়ে ৩ টাকা করে নিচ্ছেন ট্রলার মাঝিরা।
সকালে স্বস্তি প্রকাশ করে যাত্রী আসাদুজ্জামান ও যোবায়ের খান জানান, সম্প্রতি সময়ে ৩ টাকার ট্রলার ভাড়া ৫ টাকা নিতে শুরু করেছিল ট্রলার মাঝিরা। যা সোমবার সকাল থেকে কমিয়ে আবার ৩ টাকা করা হয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
অতিরিক্ত খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভায় রূপসা ঘাটে ট্রলার ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি জেলা প্রশাসক জানার পর ভাড়া কমানোর নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী বিষয়টি মাঝিদের জানানো হয় এবং পূর্বের ন্যায় ৩টাকা ভাড়া রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। যা সোমবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
এদিকে, গত ১২ মার্চ (শনিবার) রূপসা ঘাটে ট্রলার মাঝিদের নৈরাজ্য, যাত্রী ভোগান্তি শিরোনামে বাংলানিউজে সংবাদ প্রচারিত হয়। যেখানে তুলে ধরা হয় রূপসা ঘাটে যাত্রী ভোগান্তির নানা চিত্র।
সেই প্রতিবেদনে যাত্রীরা বলেন, আমাদের অনেকের মাসিক বেতন ৬-১০ হাজার টাকা। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির সময়ে ঘাট পাড় হতেই ট্রলারে যেতে আসতে ১০টাকা ও টোলে ২টাকা মোট ১২ টাকা লাগে। তাহলে রূপসা নদীর ওপারে থাকা লোকজন কীভাবে ঘাট পার হয়ে শহরে এসে চাকরি করবে।
এসব মানুষের কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে ট্রালার ভাড়া ৩ টাকা হওয়ায়।
জানা যায়, রূপসা ঘাট দিয়ে পূর্ব থেকে ঢুকলে পড়ে খুলনা সদর। পশ্চিম দিক দিয়ে ঘাট পার হলে রূপসা উপজেলার গ্রামসহ বাগেরহাট,বরিশাল অঞ্চলের জেলাগুলো যাওয়া যায়। প্রতিদিন অর্ধলক্ষ মানুষ এই ঘাট দিয়ে চলাচল করেন।
বৃটিশ শাসনামলে নির্মিত হয় রূপসা ঘাট। রূপসা সেতু নির্মাণের পূর্বে খুলনা শহরে প্রবেশের একমাত্র দ্বার ছিল রূপসার ঘাট। বাগেরহাট, পিরোজপুরসহ বরিশাল অঞ্চলের মানুষজনকে খুলনা আসতে হলে রূপসা ঘাটই ব্যবহার করতে হতো।
সেতু নির্মাণের পর থেকে ঘাট দিয়ে নদী পারাপর কমেছে। কিন্তু সময় বাচাঁনো ও যাতায়াত সহজ হওয়ায় লোকজনের নদী পার হতে রূপসা ঘাটই এখনো প্রিয়।