South east bank ad

হজ ফরজ হওয়ার পর করণীয়

 প্রকাশ: ১৬ মে ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ইসলাম ও জীবন

হজ ফরজ হওয়ার পর করণীয়

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

সামর্থ্যবান বান্দার ওপর আল্লাহ তাআলা হজ ফরজ করেছেন। হজ আর্থিক ও কায়িক ইবাদত। হজ আদায় করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন।

♦ যে বছর হজ ফরজ হয়, ওই বছরই তা আদায় করা উচিত। অযথা বিলম্ব করা গুনাহ। হজ একবার ফরজ হলে তা আর কখনো মাফ হয় না। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৫২৮)

♦ মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজের ইচ্ছা করে সে যেন তা দ্রুত আদায় করে নেয়। কেননা মানুষ কখনো অসুস্থ হয়ে পড়ে, কখনো সম্পদ খরচ হয়ে যায়, কখনো সমস্যার সম্মুখীন হয়। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২০৭)

♦ হজে যাওয়ার প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর করণীয় হলো, মানুষের অধিকারের প্রতি যত্নবান হওয়া। ঋণ থাকলে তা পরিশোধ করা। ইবাদতে কোনো ত্রুটি থাকলে তা শুধরে নেওয়া। তাওবা-ইস্তিগফার করা। এমন সফরসঙ্গী নির্বাচন করা, যিনি নেককার ও সহযোগিতাকারী। বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির করা। হজের মাসালা-মাসায়েল শেখা। (ফাতাওয়া আলমগিরি : ১/২২০)

♦ হজে যাওয়ার সময় নিয়ত বিশুদ্ধ করে নিতে হবে। মহান আল্লাহর হুকুম পালনার্থে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ করছি—এমন নিয়ত করতে হবে। লোকে হাজি বলবে, সম্মান দেখাবে, প্রসিদ্ধি অর্জন হবে, ব্যবসা ভালো জমবে, ইলেকশনে ভালো করা যাবে—এ ধরনের মনোভাব নিয়ে হজ করলে সাওয়াব তো হবেই না; বরং লৌকিকতার কারণে গুনাহ হবে। (মুসলিম, হাদিস : ১৯০৫)

♦ হজের জন্য যে টাকা খরচ করা হবে, তা হালাল হতে হবে। হজের মধ্যে হারাম টাকা খরচ করাও হারাম। যে হজে হারাম টাকা খরচ করা হয়, সে হজ কবুল হয় না। (রদ্দুল মুহতার : ৩/৫১৯)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিকভাবে হজ আদায়ের তাওফিক দান করুন। আমিন।

BBS cable ad