South east bank ad

দুই ব্যাংকের ১৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

 প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বাংলাদেশ ব্যাংক

দুই ব্যাংকের ১৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পূবালী ব্যাংক পিএলসির ৫০০ কোটি ও যমুনা ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে। গতকাল বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৭৪তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বিএসইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূবালী ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ডটি আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, রিডিমেবল ও ফ্লোটিং রেটবিশিষ্ট সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। এর কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ মার্জিন। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে বন্ডটি ইস্যু করা হবে, যার প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে পূবালী ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত হবে।

১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পূবালী ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩০১ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪ হাজার ২৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩০ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮৬৯। এর ২৮ দশমিক ২০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক শূন্য ৯, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক ১২ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

অন্যদিকে যমুনা ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে নন-কনভার্টিবল, আনসিকিউরড, ফুললি রিডিমেবল ও ফ্লোটিং রেটবিশিষ্ট সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। এর কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে বন্ডটি ইস্যু করা হবে, যার প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে যমুনা ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাস্টি ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি ও অ্যারেঞ্জার ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এটিও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৩৯ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ২৩১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৩ কোটি ৯৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৩০। এর ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৩৪, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক ২৫ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৫৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

BBS cable ad

বাংলাদেশ ব্যাংক এর আরও খবর: