বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর

একটি পরিকল্পিত নগরীর উত্থান বদলে দিয়েছে লাখো মানুষের ভাগ্য। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা দেশের নগরায়ণের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়, যা বিনিয়োগ ও বসবাস—দুই ক্ষেত্রেই হয়ে উঠেছে আস্থার প্রতীক। ঢাকার আবাসনে বসুন্ধরা এখন বিনিয়োগকারীদের বড় ভরসার জায়গা। জমি বিক্রি করে অনেক কৃষক হয়েছেন কোটিপতি, ফ্ল্যাট নির্মাণ করে ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন ৩০০ গুণ পর্যন্ত মুনাফা।
একই সঙ্গে যারা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে, তারা পাচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, নিরাপত্তাসহ পূর্ণাঙ্গ নগরজীবনের সুবিধা, যা আর কোথাও নেই। আশির দশকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের দূরদর্শী ও সাহসী উদ্যোগে শুরু হওয়া এই আবাসন প্রকল্প আজ দেশের সবচেয়ে সফল মডেল সিটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্বপ্ন থেকে বাস্তব : বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ঢুকলেই বোঝা যায়, এটি ঢাকার অন্য কোনো এলাকার মতো নয়। প্রশস্ত রাস্তা, দুই পাশে গাছের সারি, বড় ফুটপাত আর চারপাশে আধুনিক স্থাপনা।
আশির দশকে জমি কেনার সময় অনেকে সন্দেহ করেছিলেন, শহরের মূল অংশ থেকে অনেকটা দূরে বিশাল জমি নিয়ে কী হবে? কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেছিলেন, ‘ঢাকা একদিন উত্তর দিকে ছড়িয়ে পড়বেই। তখন এই জায়গাই হবে নতুন ঢাকার প্রাণকেন্দ্র।’
আজ সেই স্বপ্নই বাস্তব। প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে বসুন্ধরা এখন শুধু একটি আবাসিক প্রকল্প নয়, বরং দেশের নগর উন্নয়নের একটি নতুন প্রতীক।
রিহ্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হলো দেশের আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র।
বসুন্ধরা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বসুন্ধরাকে স্মার্ট সিটি না বলার কোনো কারণ নেই। যা যা সুবিধা একটি আধুনিক শহরে থাকা দরকার, এখানে সবই আছে।’
বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বসুন্ধরা লাভজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৮৭ সালে এক লাখ ২৫ হাজার টাকায় জমি পাওয়া যেত।
এখন গড়ে এক থেকে দুই কোটি টাকা প্রতি কাঠা। কিছু জায়গায় তিন থেকে চার কোটি টাকা। বলতে পারেন, তিন দশকে বসুন্ধরায় জমির মূল্য প্রায় ৩০০ গুণ বেড়েছে। মানুষ এখানে শুধু থাকার জন্য নয়, বিনিয়োগের জন্যও জমি কিনছে।’
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ভলিউম জিরো লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল আর্কিটেক্ট ও এমডি মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ঢাকার বর্ধিত নগরায়ণের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে, যেখানে পরিকল্পিত অবকাঠামো, নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা ও বাণিজ্যিক সুযোগ একসঙ্গে মিলছে।’
তিনি বলেন, বসুন্ধরা শুধু আবাসন নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ স্মার্ট সিটি, যেখানে বিনিয়োগ দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ ও লাভজনক। গুলশান-ধানমণ্ডির সমমানের লাইফস্টাইল প্রজেক্টসহ আধুনিক প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব নকশা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বসুন্ধরা দেশের আবাসন খাতের সংজ্ঞাই পাল্টে দিয়েছে।
কৃষক থেকে কোটিপতি : বসুন্ধরার এই উত্থান বহু মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা খোকা মিয়া একসময় ছিলেন কৃষক। এখন তিনি বসুন্ধরার একটি সুপরিচিত রেস্তোরাঁর মালিক। তিনি বলেন, ‘১৯৮৭ সালে কাঠাপ্রতি জমি বিক্রি করেছিলাম এক লাখ ২৫ হাজার টাকায়। অনেকে বলেছিল ভুল করেছি। কিন্তু সেই টাকায় আমি ব্যবসা শুরু করি। আজ আমার তিনটি বাড়ি, দুটি গাড়ি। যদি জমি ধরে রাখতাম, তাহলে আরো কোটিপতি হতাম, তবে জীবন যেমন বদলেছে, তাতেই খুশি।’
খোকা মিয়ার মতো এমন গল্প এখানে অজস্র। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বসুন্ধরায় জমি বিক্রি করা কৃষকদের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ তাঁদের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন। কেউ বড় ব্যবসা শুরু করেছেন, কেউ সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছেন, আবার কেউ আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ নতুন বাড়ি তৈরি করেছেন।
জমি ও ফ্ল্যাটের দামের উল্লম্ফন : একসময় যে প্লট ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকায় পাওয়া যেত, আজ তা দুই থেকে পাঁচ কোটি টাকার কম নয়। শুধু জমিই নয়, ফ্ল্যাটের দামও কয়েক গুণ বেড়েছে। রিয়েল এস্টেট কম্পানির প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘এখানে প্রকল্প নিলে ঝুঁকি বলতে কিছুই নেই। বাজারে ছাড়ার আগেই সব ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে যায়। বিদেশে থাকা অনেক ক্রেতা শুধু ভিডিও দেখে বুকিং দিয়ে দেন।’
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সালেহ বললেন, ‘আমি ২০১৫ সালে দুটি ফ্ল্যাট কিনেছিলাম ৯০ লাখ করে। এখন প্রতিটির বাজারদর আড়াই কোটি টাকা। এটা শুধু বিনিয়োগ নয়, ভবিষ্যতের নিরাপত্তাও।’ এই অবিশ্বাস্য মূল্যবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে পরিকল্পিত নগরায়ণ এবং আস্থার এক মজবুত ভিত্তি।
আধুনিক জীবন হাতের মুঠোয় : বসুন্ধরায় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সব প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা এলাকাটির ভেতরেই আছে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় সেরা : দেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় এই আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি), ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, প্লে-পেন, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থাকায় সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে অভিভাবকরা থাকেন নিশ্চিন্ত।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি-ব্লকে বসবাস করেন চাকরিজীবী মাহফুজা হোসাইন মৌ। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে এখানকার হার্ডকো স্কুলে পড়ে। সকালে বাসে তুলে দিই, বিকেলে নিরাপদে ফিরে আসে। ঢাকার অসহনীয় ট্রাফিক জ্যামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার ভোগান্তি নেই।’ স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও বসুন্ধরা এককথায় অসাধারণ। বিশ্বমানের ‘এভারকেয়ার’ হাসপাতাল এলাকাটির ভেতরেই অবস্থিত। পাশেই রয়েছে ‘ইউনাইটেড’ হাসপাতাল। একজন প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক বলেন, ‘এখন আমার অসুস্থ মা-বাবাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হয় না। এখানেই বিশ্বমানের সব সেবা পাওয়া যায়।’
এ ছাড়া নির্মীয়মাণ বসুন্ধরা মেডিক্যাল সিটি, আফরোজা বেগম ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্বাস্থ্যসেবাকে আরো সহজলভ্য করে তুলছে।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও সবুজ পরিবেশ : বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রতিটি প্রবেশপথে রয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। ২৪/৭ নিরাপত্তা প্রহরী এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংবলিত সিসিটিভির নজরদারি এখানকার বাসিন্দাদের দেয় সর্বোচ্চ সুরক্ষা।
‘ডি’ ব্লকের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মুশিকুর রহমান বলেন, ‘আমি ২০১০ সাল থেকে এখানে আছি। এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো পরিকল্পিত গঠন ও নিরাপত্তাব্যবস্থা। প্রশস্ত রাস্তা, সবুজে ঘেরা পরিবেশ, পরিচ্ছন্ন ফুটপাত এবং সুশৃঙ্খল ট্রাফিকব্যবস্থা একে ঢাকার অন্যান্য এলাকা থেকে আলাদা করেছে। বাসার নিচে পান-সিগারেটের টং দোকান নেই, ফলে অযথা জটলা বা উৎপাতও নেই।’
কেনাকাটা ও বিনোদন : বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কেনাকাটার জন্য রয়েছে আধুনিক সুপারশপ, শপিং মল এবং নামিদামি রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে। খুব শিগগির এখানে যুক্ত হচ্ছে আরো তিনটি নতুন ও আধুনিক শপিং মল। বিনোদনের জন্য তৈরি হচ্ছে সিনেপ্লেক্স, আন্তর্জাতিক মানের গোল্ড জিম, স্পোর্টস সিটি এবং কনভেনশন সেন্টার।
আবাসন ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের ভরসাস্থল : বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা দেশের রিয়েল এস্টেট খাতের সবচেয়ে বড় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। একটি নামকরা রিয়েল এস্টেট কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমরা গত পাঁচ বছরে বসুন্ধরায় প্রায় ৪০০ ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছি। এখানে ক্রেতাদের আস্থা এতটাই দৃঢ় যে প্রকল্প শুরু করার আগেই বেশির ভাগ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে যায়। বিদেশে থাকা ক্রেতারা শুধু ভিডিও দেখেই বুকিং চূড়ান্ত করেন। এটা বাংলাদেশের অন্য কোথাও প্রায় অসম্ভব।’
প্রবাসীরা বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে বেশি বেছে নিচ্ছেন বসুন্ধরাকে। কানাডাপ্রবাসী ফারহানা রহমান বলেন, ‘আমি বিদেশে থাকি, কিন্তু ঢাকায় একটি নিরাপদ ঠিকানা চেয়েছিলাম। বসুন্ধরা সেই নিশ্চয়তা দিয়েছে। এখানে বিনিয়োগ করে আমি নিশ্চিন্ত।’ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১০ বছর আগে একটি প্লট কিনেছিলাম। এখন সেই প্লটের যা দাম, তা দিয়ে আমি দেশে ফিরে একটি বড় ব্যবসা শুরু করতে পারব। বসুন্ধরা আমার স্বপ্নপূরণের পথ দেখিয়েছে।’
বিশেষজ্ঞদের চোখে দেশের সেরা নগর মডেল : স্থপতি মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ঢাকার জন্য এক ধরনের ভারসাম্য তৈরি করেছে। যদিও এটি বেসরকারি উদ্যোগ, তবে পরিকল্পনার দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে একটি সফল নগর মডেল।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, ‘রিয়েল এস্টেট খাত বাংলাদেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বসুন্ধরা প্রকল্পটি শুধু জমি বা ফ্ল্যাট বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ব্যাংক, বীমা, নির্মাণশিল্প থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাত পর্যন্ত বহুমুখী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তৈরি করেছে।’
পূর্ণাঙ্গ স্মার্ট সিটি হওয়ার পথে : বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাকে পূর্ণাঙ্গ স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক বলেন, ‘আমরা চাই বসুন্ধরা শুধু একটি আবাসিক এলাকা না হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ স্মার্ট সিটিতে পরিণত হোক। এখানে থাকবে ডিজিটাল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, গ্রিন এনার্জি, স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেম এবং পরিবেশবান্ধব সব ব্যবস্থা। ২০২৬ সালের মধ্যে পুরো স্মার্ট সিটির সুবিধা বাসিন্দারা ভোগ করতে পারবেন।’
এই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে বসুন্ধরাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে ছয়টি মেট্রো স্টেশন—ভাটারা, নতুনবাজার, নদ্দা, জোয়ারসাহারা, বসুন্ধরা ও মস্তুল। এই স্টেশনগুলো চালু হলে রাজধানীর সব প্রান্তের সঙ্গে দ্রুত ও সহজ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি হবে।
বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোক্তার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১৫ হাজারের বেশি সদস্য রয়েছেন। আমরা সদস্যদের সেই পরিমাণ সেবা দিতে চাই, যা তাঁরা প্রত্যাশা করেন এবং প্রাপ্য। আমরা পরিবহন ব্যবস্থাপনাটিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। খুব দ্রুত একটি অত্যাধুনিক আলোকসজ্জাসংবলিত কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, যা বাসিন্দাদের একটা বড় ধরনের চাহিদা পূরণ করবে। স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে আমরা বয়স্কদের জন্য কেয়ার ইউনিট সুযোগ ও চক্ষু ক্যাম্প করতে চাই। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় আমরা বাসিন্দাদের জন্য একটি অত্যাধুনিক আলোকসজ্জাসংবলিত কমিউনিটি পার্ক, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং বয়স্কদের জন্য কেয়ার ইউনিটের মতো সুবিধা চালু হবে বলে আশা করছি।’
বসুন্ধরার সম্প্রসারণ নিয়ে বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক জানান, ‘ফেজ ৪ নামে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে। পূর্বাচলকেন্দ্রিক ৩০০ ফিটের চারপাশে আরো নতুন প্রকল্প আসবে। ড্রেনেজ, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সব কিছু একসঙ্গে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই ফেজ শেষের দিকে আরো উন্নয়ন হবে।’
তিনি উল্লেখ করলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে পুরো স্মার্ট সিটির সুবিধা ব্যবহারযোগ্য হবে। নিরাপত্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিনোদন, শপিং ও যোগাযোগের সুবিধা—সবই এক জায়গায় সমন্বিত। বসুন্ধরা শুধু আবাসনের জন্য নয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবেও অনন্য।’