১ শতাংশের বেশি পয়েন্ট হারিয়েছে সূচক

দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর প্রথম ১৬ মিনিট সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এর পর থেকে শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারায় সূচক। দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৬৮ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৪৫০ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ২৩ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১০৭ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস এদিন ১৯ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ১৭৮ পয়েন্ট।
গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ও বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার।
ডিএসইতে গতকাল ৬২১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ৩০৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫০টির বাজারদর।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের দুর্বল মনোভাবের কারণে দিনভর শেয়ার বিক্রির চাপ অব্যাহত ছিল। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে বাজারে অংশগ্রহণও তুলনামূলক কম। এ কারণে সূচকে নিম্নমুখিতা দেখা গেছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত। ১৪ দশমিক ১ শতাংশ দখলে নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ব্যাংক খাত ১২ শতাংশ লেনদেন নিয়ে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে ছিল। ৭ দশমিক ৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার চতুর্থ স্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
গতকাল ডিএসইতে সব খাতের শেয়ারেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে জীবন বীমা খাতে। এছাড়া কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ৩ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ২ দশমিক ৬, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২ দশমিক ৩ এবং সিমেন্ট খাতে ২ দশমিক ২ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৮১ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৩৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৩৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২১৪ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ১৬১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।