South east bank ad

ব্যাংক, আর্থিক ও টেলিযোগাযোগ খাতে নেতিবাচক রিটার্ন

 প্রকাশ: ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   শেয়ার বাজার

ব্যাংক, আর্থিক ও টেলিযোগাযোগ খাতে নেতিবাচক রিটার্ন

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে সূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে সূচক বাড়লেও শেষ তিন কার্যদিবসে কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও টেলিযোগাযোগ খাতের শেয়া‌রে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৪ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ৩৫০ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৭৪ পয়েন্ট। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৭ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ১৬৩ পয়েন্ট।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৪টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪১টির, কমেছে ১২৯টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির। আর লেনদেন হয়নি ১৯টির। গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মা, বীকন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, কোহিনূর কেমিক্যালস ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৪ হাজার ৫৩৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনে গত সপ্তাহে ওষুধ ও রসায়ন খাতের আধিপত্য ছিল। লেনদেনচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষ অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ দখলে নিয়েছে ব্যাংক খাত। ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ব্যাংক খাতে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ১ দশমিক ৫৮ ও টেলিযোগাযোগ খাতে ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ড, বিবিধ, করপোরেট বন্ড, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং সিমেন্ট খাতে নেতিবাচক রিটার্ন ছিল। অন্যদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে। এছাড়া পাট খাতে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন ছিল।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে ১৫ হাজার ২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৪ হাজার ৯৭৩ পয়েন্ট। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহে দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ২১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৯ হাজার ১৯১ পয়েন্ট।

সিএসইতে গত সপ্তাহে ৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯২টির, কমেছে ১১০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির বাজারদর।

BBS cable ad

শেয়ার বাজার এর আরও খবর: