প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণমান ‘ডাবল এ’

প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি টু’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে আর্গুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ৯৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৫৩ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়ানি ব্যাংকটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৩৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭৩ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। আলোচ্য হিসাব বছরে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ১৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮ পয়সায়।
২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রিমিয়ার ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ২৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৪৮৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
মোট শেয়ার সংখ্যা ১২৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩। এর ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক ২৯ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৫৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।