বেসিক ব্যাংকের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক লিমিটেড-এর ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হেলাল আহমেদ চৌধুরী এর সভাপতিত্বে সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের শতভাগ শেয়ারহোল্ডার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক সভায় উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মো. কামরুজ্জামান খান সভায় উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান এবং নানান প্রশ্নের উত্তর দেন। সভায় ব্যাংকের ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য- অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুন্সি আব্দুল আহাদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদ, মো. মতিউর রহমান, এফসিএ, এফসিএমএ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল আহাদ, সরকারের অবসরপ্রাপ্ত গ্রেড-১ কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বেসিক ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পর্যবেক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মো. হাসান ইমাম, মহাব্যবস্থাপক ও সিএফও মো. সাইদুর রহমান সোহেল, ব্যাংকের অডিট ফার্ম কাজী জহির খান অ্যান্ড কোং-এর প্রতিনিধি এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক তার বক্তব্যে বলেন, বেসিক ব্যাংকে আমরা সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছি এটাকে পরিপূর্ণভাবে আলোকিত করতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বেসিক ব্যাংক এখন ক্রমশ ভালোর দিকে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে তিনি ব্যাংকটিকে সম্ভাব্য সকল সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বেসিক ব্যাংকের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে বলেন, এটা একটি ভালো ব্যাংক ছিল। এর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। ব্যাংকের সার্বিক উন্নতির জন্য তিনি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান হেলাল আহমেদ চৌধুরী তার বক্তব্যে ব্যাংকের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও এর কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি খেলাপি ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদার করা এবং আইনি প্রক্রিয়া গতিশীল করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে তিনি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন ও কর্মক্ষেত্রে সুশাসন বজায় রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রকদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ব্যাংকের আয় বৃদ্ধি এবং খেলাপি ঋণ আদায়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট থাকার কথা জানান।
এছাড়া প্রশ্নোত্তর পর্বে উপব্যবস্থাপনা পরিচালকদ্বয় আবু মো. মোফাজ্জেল ও সুভাষ চন্দ্র দাস, মহাব্যবস্থাপক মো. ইসমাইল, মো. মমিনুল হক, মো. নাসির উদ্দীন, সুমিত রঞ্জন নাথ, দুলন কান্তি চক্রবর্তী, মো. গোলাম সাঈদ খান, মো. সাইদুর রহমান সোহেল, নূরুর রহমান চৌধুরী (মহাব্যবস্থাপক-চলতি দায়িত্ব) সহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।