বিজিবি’র অভিযানে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
বিজিবি'র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ৫,০০,০০,০০০/- (পাঁচ কোটি) টাকা মূল্যমানের ০১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করা হয়েছে।
বিজিবি'র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১১ হতে আনুমানিক ১.৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণে আলীখাল সোলার প্রজেক্ট সংলগ্ন লবন মাঠ এলাকা দিয়ে একটি মাদকের বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ব্যাটালিয়ন সদর হতে একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে আলীখাল সোলার প্রজেক্ট সংলগ্ন লবনের মাঠের ভেতর আইলের আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক রাত ২৩০০ ঘটিকায় উক্ত লবন মাঠ এলাকা দিয়ে ২-৩ জন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে ০১টি সাদা চটের ব্যাগ নিয়ে আসতে দেখে। টহলদল উক্ত ব্যক্তিদেরকে দেখা মাত্রই তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়। দুষ্কৃতিকারীগণ দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত ব্যাগটি ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে প্বার্শবর্তী রঙ্গিখালী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে মাদক পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ০১টি ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ৫,০০,০০,০০০/- (পাঁচ কোটি) টাকা মূল্যমানের ০১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করতে সক্ষম হয়। মাদক কারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও নদীর তীরসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে অদ্য ২৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখ রাত ০২৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় মাদক কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) টেকনাফ সীমান্তের দায়িত্বভার গ্রহণের পর হতে মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত, মানবপাচারসহ সীমান্তে সংঘটিত সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধসমূহ প্রতিরোধকল্পে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।