South east bank ad

দাম নির্ধারণের পরেও কেন অস্থির ডিমের বাজার

 প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ক্রয়-বিক্রয়

দাম নির্ধারণের পরেও কেন অস্থির ডিমের বাজার

গত ছয়দিনে ডিমের দাম প্রতি ডজনে ১০ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকায় পৌঁছেছে, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এর দাম নির্ধারণ করা হয়। অথচ বাজারে সেই নির্ধারিত দামেই ডিম বিক্রি হচ্ছে না। বিক্রেতাদের মতে, ডিমের সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে এ মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলা, মোহাম্মদপুর, টাউন হল ও কাঁঠালবাগানে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের বাদামি ও সাদা ডিম এখন ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা।

তালতলা বাজারের ডিম বিক্রেতা আশিক জানান, পাইকারি বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। এজন্য বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে, ফলে খুচরা বিক্রেতার কাছে দাম বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পাইকারি থেকে প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকায় কিনে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ করে ১৪ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ডিমের দাম ১৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাইয়ে ডিমের ডজন ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, কিন্তু সেপ্টেম্বর মাস শেষে তা ১৭০ টাকায় পৌঁছেছে।

কৃষি বিপণন অধিদফতর জানায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ডিমের যৌক্তিক দাম ১৪২ টাকা ডজন নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু বাজারে তা ২৩ থেকে ২৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় খামারিরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না এবং সিন্ডিকেট ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে।

বাংলাদেশ এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, কয়েক দিনের বৃষ্টির পর অতিরিক্ত গরমের কারণে ডিমের উৎপাদন কমেছে, যা সরবরাহের ঘাটতি তৈরি করছে এবং বাজারে দাম বাড়াচ্ছে।

BBS cable ad