জেড ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের ক্যাটাগরি ‘বি’ থেকে ‘জেড’-এ স্থানান্তরিত হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের ক্যাটাগরি ‘বি’ থেকে ‘জেড’-এ স্থানান্তরিত হয়েছে। বিএসইসির শর্ত অনুযায়ী টানা দুই বছর কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, আগামীকাল থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে কোম্পানিটির লেনদেন হবে।
সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭ টাকা ৫৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ৭৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ৮ পয়সায়।
২০২২-২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৭৭ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৮৫ পয়সায়।
২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৫৩ টাকা ৬৮ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫৪ টাকা ৬৫ পয়সা।
২০২০-২১ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে অন্য বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৩৪ পয়সা। ২০১৯-২০ হিসাব বছরেও কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২৫ পয়সা।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৬৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে ৬৮ দশমিক ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৪ টাকা ৬০ ও ৫২ টাকা ৫০ পয়সা।