৮০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে ট্রাস্ট ব্যাংক

তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ ৮০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ড ইস্যুর অর্থ দিয়ে ব্যাংকটি মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে, ব্যাংকটি রিডিমেবল, নন-কনভার্টিবল, আনসিকিউরড সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যু করবে। ট্রাস্ট ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যু করতে পারবে।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৫ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৯৩ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাংকটির পর্ষদ। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫০ শতাংম নগদ ও ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ট্রাস্ট ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৬২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক। এর মধ্যে ১২ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৯৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৪১ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি।
আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৫২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫০ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় ট্রাস্ট ব্যাংক। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ট্রাস্ট ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯২৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯২ কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার ১০০। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বিদেশী ও বাকি ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।