শিরোনাম

South east bank ad

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে প্লাস্টিক শিল্পের ২০% কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত

 প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে প্লাস্টিক শিল্পের ২০% কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত

দেশের প্লাস্টিক শিল্পে বর্তমানে ৬ থেকে ৭ হাজার কারখানা রয়েছে। কিন্তু এ শিল্পের প্রধান উপাদান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের কারণে এরই মধ্যে ২০ শতাংশ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, আবার অনেকগুলো বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনের সভাপতি সামিম আহমেদ। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের ওপর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএ সাবেক সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কেএম ইকবাল হোসেন, সহসভাপতি এনামুল হক এবং পরিচালক নুর আলম বাচ্চু, এটিএম সাঈদুর রহমান বুলবুল, আমান উল্লাহ, আব্দুল কাদের জিলানি ও সৈয়দ মো. নাসির উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, ‘প্লাস্টিক শিল্প ২০২০-২১ অর্থবছরে কভিড ১৯-এর কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছিল। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালেও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এখন আবারো কভিডের সংক্রমণ শুরু হয়েছে।’

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে কাঁচামাল আমদানির খরচ বাড়লে প্লাস্টিক শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিপিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘চলমান ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসসহ (এলএনজি) অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির খরচ বাড়বে। ফলে আবারো ক্ষতির মুখে পড়তে পারে দেশের প্লাস্টিক খাত।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্লাস্টিকের সব কাঁচামাল থার্মোপ্লাস্টিক মোল্ডিং কম্পাউন্ড, যা পেট্রো রাসায়নিকভিত্তিক পণ্য। কিন্তু এখনো এসব কাঁচামালের ৮০-৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বাকি ২০ শতাংশ দেশে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জোগান দেয়। তাই দেশীয় শিল্প রক্ষার স্বার্থে প্লাস্টিক শিল্পের মৌলিক কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে বিপিজিএমইএ।

প্লাস্টিকের তৈরি টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার ও গৃহস্থালি সামগ্রীর উৎপাদন পর্যায়ে মূসকের হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা সংশোধন করে মূসক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। এছাড়া খেলনা সামগ্রীর আমদানি খরচ হ্রাস, চিলার আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক করাদি সুবিধা প্রদান, পিভিসি শিট আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ, রিসাইক্লিং পণ্যের ওপর প্রযোজ্য আয়কর প্রত্যাহার, ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণসহ ১৫টি প্রস্তাব দিয়েছে বিপিজিএমইএ।

২০২৫-২৬ প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেছে বিপিজিএমইএ। সংগঠনের সাবেক সভাপতি এএসএম কামাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক। বিগত সরকার যে বাজেট দিয়েছিল এবারো তা প্রতিফলিত হয়েছে। এটি দূরদর্শী বাজেট নয়, হিসাবরক্ষকের বাজেট।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: