সাংবাদিক রাহাত খান ছিলেন কথাশিল্প, ছোটগল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও উপন্যাসের নিপুণ কারিগর: মোস্তাফা জব্বার
দেশের জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও দৈনিক ইত্তেফাক এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রাহাত খান এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী শুক্রবার (২৮ আগস্ট) এক শোকবার্তায় বলেন, বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনের পাশাপাশি রাহাত খান ছিলেন কথাশিল্প, ছোটগল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও উপন্যাসের নিপুণ কারিগর।তিনি সাংবাদিক জগতের একজন নক্ষত্রই ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন বড় মাপের শিক্ষক। ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চট্রগ্রাম সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করার মধ্য দিয়ে মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে প্রথম জীবন শুরু করেন। তিনি বলেন, দেশ এক বিরল প্রতিভা হারালো, আমি হারিয়েছি একজন অতি আপনজন ।
রাহাতখানের স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, রাহাত খান তার লেখনি দিয়ে দেশকে অনেক দিয়েছেন। দেশও তাকে বঞ্চিত করেনি উল্লেখ করে বলেন রাহাত খান ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৩), সুহৃদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৫), সুফী মোতাহার হোসেন পুরস্কার (১৯৭৯), আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮০), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮২), ত্রয়ী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮) এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় একুশে পদক (১৯৯৬) পেয়েছেন। জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, রাহাত খান এর মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তার পূরণ হবার নয়।তিনি বলেন, রাহান খান তার উপন্যাস ও ছোট গল্প অমল ধবল চাকরি, ছায়াদম্পতি, শহর, হে শূন্যতা, হে অনন্তের পাখি, মধ্য মাঠের খেলোয়াড়, এক প্রিয়দর্শিনী, মন্ত্রিসভার পতন, দুই নারী, কোলাহল এবং ইত্যাদির মধ্যে পাঠক হৃদয়ে চির জাগরূক হয়ে থাকবেন।
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।