South east bank ad

আইপিওর ৭৩.৮২ কোটি টাকা ব্যয়ের সময়সীমা দুই বছর বৃদ্ধির অনুমোদন

 প্রকাশ: ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

আইপিওর ৭৩.৮২ কোটি টাকা ব্যয়ের সময়সীমা দুই বছর বৃদ্ধির অনুমোদন

তালিকাভুক্ত গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের প্রায় ৭৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা এখনো অব্যবহৃত রয়েছে। এ অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা আরো দুই বছর বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ অনুমোদন দেয়া হয়। এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকর হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর আইপিওর মাধ্যমে ৪২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও পুরো অর্থ এখনো ব্যয় করতে পারেনি ব্যাংকটি। এ বছরের ৩০ জুন শেষে ব্যাংকটির আইপিও তহবিলে এখনো ৭৩ কোটি ৮১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে। এ অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা আরো দুই বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় ব্যাংকটির পর্ষদ। পাশাপাশি আইপিও-সংক্রান্ত ব্যয়ের অবশিষ্ট ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২ টাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) খাতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এজিএমে এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা, যা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকর হবে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৬ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৯৭ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯ টাকা ৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ১৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৩৩ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ টাকা ৬২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২১ টাকা ৭৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭৭ পয়সায়।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে আর্থিক প্রতিবেদন সংশোধনের পর লোকসান হওয়ার কারণে ব্যাংকটি আলোচ্য হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২১ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ৯৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ১৪ পয়সায়।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটির পর্ষদ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ডাবল এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি টু’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ১১ জুন ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: