প্রায় আড়াই শতাংশ পয়েন্ট হারিয়েছে সূচক

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহের সূচকে নিম্নমুখিতা থাকলেও লেনদেন বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। তবে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩২ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ৪১৬ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৪৮ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৮২ পয়েন্ট। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে ৩৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ১৭২ পয়েন্ট।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ২৯৮টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ১৯টির। আর লেনদেন হয়নি ১৭টির। গত সপ্তাহে সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৬৫৭ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬২০ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
খাতভিত্তিক লেনদেনে গত সপ্তাহে বীমা খাতের আধিপত্য ছিল। লেনদেনচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষ অবস্থান করছে সাধারণ বীমা খাত। ১০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ব্যাংক খাত ৯ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার চতুর্থ অবস্থানে ছিল। আর ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে ছিল জীবন বীমা খাত।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে তিনটি খাত বাদে সব খাতের শেয়ারেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৫ দশমিক ৯৯ ও পাট খাতে ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল। অন্যদিকে গত সপ্তাহে সাধারণ বীমা খাতে সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ১ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এছাড়া করপোরেট বন্ড খাতে ১ দশমিক ৯৩ ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে দশমিক ৭৪ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন ছিল।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই গত সপ্তাহে দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ১৪ হাজার ৯৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসসিএক্স সূচকটি সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ৮২ শতাংশ কমে ৯ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সিএসইতে গত সপ্তাহে ৬৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪২ কোটি টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ১৯৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২২টির।