নির্বাচনমুখী খালেদা
দীর্ঘ ঊনিশ মাস পর জনসভায় এসে টানা এক ঘণ্টা বক্তৃতা করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই বক্তৃতায় তিনি যেমন আবেগ তাড়িত হয়েছেন, তেমনি আগামী নির্বাচন নিয়ে দিয়েছেন নানা ইঙ্গিত।
তিনি বুঝিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কতোটা মুখিয়ে আছেন তিনি ও তার দল। আর এজন্যই সুর নরম করে পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। আবার দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে দিয়েছেন রাজনৈতিক বক্তব্য। আর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেছেন আগাম নির্বাচনী ইশতেহার। যাতে ছিলো সুনির্দিষ্ট ভিশন। কর্মসংস্থান, কৃষি, শিক্ষা, উন্নয়ন নিয়ে স্পষ্ট ভিশন ঘোষণা করেছেন তিনি।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণ কি পাবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে সারাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। ঘরে ঘরে চাকরি দেয়া হবে। এক বছর বেকার থাকলে বেকার ভাতা দেয়া হবে। শিক্ষিত যুবকদের চাকরির নিশ্চয়তা দেয়া হবে। নারী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সকল শিক্ষা অবৈতনিক করা হবে। স্বাস্থ্যবিমা চালু করা হবে। কৃষকদের জন্য সার-ওষুধ সুলভ করা হবে। ন্যায্য দরে কৃষিপণ্য কিনে নেয়া হবে। দরিদ্র ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি ঋণ মওকুফ করা হবে। গ্রামে কর্মসংস্থান করা হবে, যাতে গ্রামের মানুষকে শহরে আসতে না হয়। গ্রামের মানুষ গ্রামে থেকেই গ্রামের উন্নয়ন করবে। কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হবে। যদিও এ বছরের প্রথমার্ধেই এমন একটি ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেছিলেন খালেদা জিয়া।
দীর্ঘ বিরতির পর বিশাল জনসভায় বক্তব্য দিতে উঠে অনেকটাই উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়া। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে তাই মঞ্চের সামনে থাকা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মজাও করেছেন তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যা তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে একেবারেই অপরিচিত। এ সময় তিনি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়েও কথা বলেন।