পাঁচ মাস পর স্কুলছাত্রী হত্যার মূল আসামী গ্রেফতার করল পিবিআই
এইচ এম জোবায়ের হোসাইন:
২০২০ ডিসেম্বরের ৪তারিখ সকালে কোতোয়ালী থানাধীন উইনারপাড় সাকিনস্থ বাদীর মায়ের বসতঘরের বারান্দায় পাইপের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তার (১১) এর লাশ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ও পিবিআই দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ওই ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা নং-২২, তাং-০৬/১২/২০২০ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। থানা পুলিশ কর্তৃক তদন্তাধীন অবস্থায় পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা গত ০৯/০২/২০২১ খ্রিঃ স্ব-উদ্যেগে মামলাটি অধিগ্রহণ করে মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসাইন ডিসিস্ট স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তারের খুনিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করতে থাকেন। একপর্যায়ে কোতোয়ালী থানাধীন চুরখাই বাজার এলাকা হতে গত ০৮/০৫/২০২১ খ্রিঃ সন্ধিগ্ধ আসামী মোঃ রাসেল মিয়া (২৮), পিতা-আবুল কালাম, সাং-উইনারপাড়, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ’কে গ্রেফতার করেন। পুলিশ সুপার জনাব গৌতম কুমার বিশ্বাস এর দিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ধৃত আসামীকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সন্ধিগ্ধ আসামী মোঃ রাসেল মিয়া স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
ডিসিস্ট সাদিয়া আক্তারের মা আসমা আক্তার বেদেনা বাদী হয়ে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামী করে মামলা দায়ের করলেও প্রকৃতপক্ষে জমিজমাসহ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আসামী মোঃ রাসেল মিয়া ডিসিস্ট সাদিয়া আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে এবং গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর কাপড়ের ফিতা গলায় বেঁধে বাদীর পিতার বসতঘরের বারান্দার পাইপের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। অদ্য ০৯/০৫/২০২১ খ্রিঃ সন্ধিগ্ধ গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রাসেল মিয়াকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে, সে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার সকল অফিসার ও ফোর্সের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় উদঘাটিত হয় চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তার হত্যা মামলার মূল রহস্য। অবসান হয় সকল জল্পনা কল্পনার।