দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক এমপি আউয়াল
২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা কামাল গত মাসে আউয়ালের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। সাবেক সাংসদ এবং ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে পল্লবীর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৬ মে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকাকালে তাকে চাঁদাবাজির এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়।
২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে পল্লবী থানার মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ আউয়ালসহ দুইজনকে দু’দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (০৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া অপর আসামির নাম টিটো। এই দুজনই পল্লবীর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আসামি।
এর আগে আউয়াল ও টিটোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) অনয় কুমার। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৬ মে পল্লবীতে ৬ বছরের ছেলে মাশরাফির সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বিকেল সাড়ে চারটায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে। সাহিনুদ্দিন পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে সিরামিক রোডের বাসিন্দা। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা আউয়ালসহ ২০ জনের নামে পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০ মে ভোরে নরসিংদীর ভৈরবের একটি মাজার থেকে আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ২৬ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।