৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য চেয়ে শাস্তি: ইউএনওকে দায়মুক্তি দিয়ে প্রতিবেদন
কিছুদিন পুর্বে খাদ্যসহায়তা চেয়ে ৩৩৩ নম্বরে কল করেন কাশিপুর ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকার ফরিদ আহমেদ। তার চারতলা বাড়ি ও হোসিয়ারি কারখানা থাকার খবর পেয়ে খাদ্যসহায়তা না দিয়ে তাকে দুই দিনের মধ্যে ১০০ জনের মধ্যে খাদ্য বিতরণের নির্দেশ দেন ইউএনও আরিফা জহুরা। এ নির্দেশনা না মানলে তিন মাসের জেল হতে পারে বলে ফরিদ আহমেদকে জানান ইউপি সদস্য আইয়ুব। এ ঘটনা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়।
পরে ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামীম ব্যাপারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। জাতীয় জরুরি তথ্য সেবা ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসহায়তা চাওয়া ব্যক্তিকে উল্টো শাস্তি দেওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে শাস্তি দেওয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরাকে ওই ঘটনা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং তার ভুল তথ্যে এমন ঘটনা ঘটায় এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনে প্রতিবেদন জমা দেয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে দায়ী করা হয়েছে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আইয়ুব আলীকে।
গত ২৬ মে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসকের কাছে সাত দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত দেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
আগামীতে যদি ৩৩৩ অথবা ৯৯৯ নম্বরে এ ধরনের ফোন আসে তাহলে স্থানীয় মসজিদের ঈমাম, গণমাধ্যমকর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।