কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার: এএসআই সৌমেনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ্যে স্ত্রী-সন্তান ও যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুলিশের এএসআই সৌমেনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। নিহত শাকিলের পিতা মেজবার রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সঙ্গে জড়িত ধৃত এএসআই সৌমেনকে বরখাস্তের পর পুলিশের খুলনা রেঞ্জ গঠিত তদন্ত কমিটি নেপথ্যের কাহিনী উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম জানান, আসামিকে আদালতে সোপর্দের পর অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনে রিমান্ড চাওয়া হবে। রবিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত ১১টার পর মামলাটি রেকর্ডভুক্ত হয়।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে প্রকাশ্যে মা-ছেলেসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে এএসআই সৌমেন রায়। নিহতরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের বাসিন্দা মেজবা খানের ছেলে বিকাশ কর্মী শাকিল খান (২৮), আসমা খাতুন (৩৪) ও আসমার শিশু সন্তান রবিন (৭)। এদের মধ্যে আসমা খাতুন এএসআই সৌমেনের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জানা গেছে।
এদিকে নিহতদের লাশের ময়নাতদন্ত কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনজনের প্রত্যেকের মরদেহে দুইটি করে গুলির স্পষ্ট চিহ্ন ছিল বলে হাসপাতালের আরএমও ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান। তবে দেহ ভেদ করে প্রত্যেকটি গুলি বেরিয়ে গেছে বলেও ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুলতলা থানার একজন কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় এএসআই পদে যোগদান করেন। এরপর থেকেই সে মাঝেমধ্যে থানায় অনুপস্থিত থাকতেন। রবিবার সকালে সে কাউকে কিছু না বলে থানা থেকে বেরিয়ে যান। দুপুরে আমরা খবর পাই, সে কুষ্টিয়ায় গিয়ে নারী-শিশুসহ তিনজনকে গুলি করেছে।
খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, আমাদের কোনো অনুমতি ছাড়াই সে (এএসআই সৌমেন রায়) কুষ্টিয়ায় গেছে। সেখানে গিয়ে সে তিনজনকে হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেফতার হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে।