পাবনায় অজ্ঞাতনামা ভিক্ষুক হত্যাকান্ডের ৪ জন আসামি গ্রেফতার
ঈশ্বরদী থানাধীন সাহাপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর, রহিমপুর (আওতাপাড়া) গ্রামে মোঃ জাহিদুল ইসলাম প্রাং (৪৯) এর বাবা মোঃ মানিক প্রাং এর শয়ন কক্ষে প্রতিবন্ধী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। মৃতদেহের হাতে, অন্ডকোষ, গলায় এবং অন্যান্য স্থানে রক্তাক্ত জখম দেখা যায়। এতে প্রতিয়মান হয় যে, এটি একটি হত্যাকান্ড। মানিকের বাড়ীর সদস্যগন পলাতক থাকায় এই সন্দেহ আরো গভীর হয়। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের কাজ শুরু করে। এখানে পুলিশের দুইটি চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমটি ছিল ভিকটিমের নাম পরিচয় উদঘাটন এবং হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সহ আসামী গ্রেফতার।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, বিপিএম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ মাসুদ আলমের দিক নির্দেশনায় ঈশ্বরদী থানার অন্যান্য অফিসার ফোর্সের সমন্বয়ে পুলিশের একটি চৌকশ টিম কাজ শুরু করে। জাহিদুল এর স্ত্রী সামেলা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঈশ্বরদী থানায় আনা হলেও সে ভিকটিমের নাম-ঠিকানা দিতে ব্যর্থ হয়। এমনকি সে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টিও অস্বীকার করে।
তদন্তে জানা যায় যে, নিহত প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের নাম মোঃ মিলন হোসেন (৩০), পিতা-আবু বক্কার মাতুব্বর, মাতা-মোছাঃ রাফেজা বেগম, সাং-কানফরদী, থানা-নগরকান্দা, জেলা-ফরিদপুর। সে শারীরিক প্রতিবন্ধী।
তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম, শ্রী নিরঞ্জন চন্দ্র দাসকে ২৭জুন সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থেকে এবং মোঃ শাকিল কে একই তারিখ ঈশ্বরদী থেকে গ্রেফতার করা হয়।