শিরোনাম

South east bank ad

অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় ও স্বামীর অধিকারের দাবিতে ময়মনসিংহে অন্তঃসত্ত্বা কলেজ ছাত্রীর মামলা

 প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আইন আদালত

এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন (ময়মনসিংহ) :

অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় ও স্বামীর অধিকারের দাবিতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা সভাপতি সানাউল হকের বিরুদ্ধে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্থানীয় এক কলেজ ছাত্রী মামলা করেছেন। গত ১৬ জুন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী ময়মনসিংহ জেলা শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। আদালত তা আমলে নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার বিষটি প্রথমে গোপনে থাকলেও বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের মাঝে তা জানাজানি হচ্ছে।

সানাউল হক ওরফে আব্দুল হক গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি এ উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের গজন্দর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত, তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।

বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ জেলা পিবিআই পরিদর্শক মোঃ ফিরোজ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে তিনি আদালতের প্রয়োজনীয় কাগজ হাতে পেয়েছেন। এছাড়া ওই কলেজছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রমাণসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই কলেজছাত্রীর ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে মামলার তদন্তকাজ শুরু হবে। এ তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত বিজ্ঞ আদালতে জমা দেয়া হবে বলে জানান পিবিআই’র এই কর্মকর্তা।

মামলার এজাহারে প্রকাশ, ওই কলেজছাত্রীর ভাইয়ের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকার কারণে প্রায়ই সানাউল হক তাদের বাড়িতে আসতেন। এমতাবস্থায় তাদের মধ্যে ভালো লাগা থেকে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন এই যুবলীগ নেতা। এতে ওই কলেজছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কলেজছাত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করেন সানাউল হক।
পরবর্তীতে সানাউল হক পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ভিকটিমের হাতে একটি কাবিননামা তুলে দিয়ে গাজীপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন তারা। এঅবস্থায় আবারও ওই কলেজছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি সানাউল হককে জানালে, এটি তার সন্তান নয় বলে অস্বীকার করেন তিনি। এমনকি বিয়ের নিবন্ধনও ভুয়া বলে দাবি করেন এই যুবলীগ নেতা।

এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সানাউল হক সাংবাদিকদের জানান, ‘ওই কলেজ ছাত্রী একটা খারাপ মেয়ে আর দশজনের মতো শয়তানের পাল্লায় পড়ে আমিও কয়েকবার তার কাছে গেছি, সে আমার কাছে আসছে। তাই বইল্যা তার পেটের বাচ্চা যে আমার হবে সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার। তাছাড়া মামলার বিষয়ে আদালতেই প্রমান হবে। আমাকে হেয় করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে।’

BBS cable ad

আইন আদালত এর আরও খবর: