মাদারগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে তিন কর্মচারিকে মারধর, থানায় মামলা
শামীম আলম (জামালপুর) : জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের তিন কর্মচারিকে মারধরসহ কম্পিউটার-ল্যাপটপ ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাদি হয়ে সোমবার( ৫ জুলাই ) সন্ধ্যার দিকে মাদারগঞ্জ থানায় মামলা (নং-৩, তাং - ০৫/০৭/২১) দায়ের করেছে হিসাবরক্ষক জাহা আলম। আসামিরা হলেন, জেলা পরিষদের সদস্য এবং মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দৌলতুজ্জামান দুলালের দুই ছেলে মামুন ও নাবিল।
মামলা সূত্রে জানা গেছে , সোমবার (৫ জুলাই) টেন্ডারের বিডির টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে হিসাবরক্ষক জাহা আলমের সাথে অভিযুক্ত ওই আওয়ামী লীগ নেতার দুই ছেলে মামুন ও নাবিলের বাক-বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত ওরা দুইজন জাহাআলমকে মারধর সহ অফিসের ফাইল পত্র তছনছ ও ল্যাপটপ-কম্পিউটার ভাংচুর করে। খবর পেয়ে হাসপাতালের অপর দুই কর্মচারি বেলাল হোসেন ও মোশারফ হোসেন এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। হট্রগোলের সৃষ্টি হলে মুহুর্তেই স্থানীয়রা হাসপাতালে ভীড় জমায় এবং হামলাকারিদের হাত থেকে আহত তিন কর্মচারীকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হিসাবরক্ষক জাহা আলম জানান- দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাগজপত্র অসম্পূর্ণ রেখেই বিডির টাকা ফেরতের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল অভিযুক্তরা।
মাদারগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম জয় জানান - আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেরা ঢাকার এক ঠিকাদারের নামে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ের টেন্ডার জমা দেন। টেন্ডারের বিডির টাকা ফেরতের জন্য কাগজপত্র ঠিক করে আনতে বলার সাথে সাথেই তারা উত্তেজিত হয়ে মারধর করে।
অভিযুক্ত নাবিল হট্রগোলের কথা স্বীকার করে বলেন-আমরা কাওকে মারধর করিনি। বরং ওরাই ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে আমার ভাই মামুনকে মারধর করেছে।
মাদারগঞ্জ থানার অফিসার মাহবুবুল হক জানান-এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।