South east bank ad

কিশোরী কন্যা ধর্ষণের ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে পিতার জবানবন্দি

 প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আইন আদালত

নুর উদ্দিন সুমন, (হবিগঞ্জ) :

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আলীনগর গ্রামে পিতা কর্তৃক কিশোরী কন্যা ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবারি (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় পিতা আব্দুর খালেক কিশোরী কন্যাকে ধর্ষনের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। আদালত তার জবানবন্দী রেকর্ড করে সন্ধ্যায় আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সেপক্টর (তদন্ত) চম্পক দাম আসামীর বরাত দিয়ে জানান, আসামী খালেকের স্ত্রী ভিকটিম কিশোরীর মায়ের সাথে পারিবারিক মনোমালিন্য দেখা দিলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে জগড়াঝাটি হয়। অভিমান করে কিশোরীর মা’ পিত্রালয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় আসামী খালেক তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে কতিপয় হুজুরের কাছ থেকে তাবিজ কবজ করেন। আসামীর দাবী তাবিজ কবজের প্রভাব পড়ে তার উপর, এতে তার মাতা নষ্ট হয়ে গিয়ে সে (পিতা) সহ তার বন্ধু কাদির মিলে বাড়িতে একা পেয়ে একাধিকবার নিজ কিশোরী কণ্যাকে দুজন মিলে ধর্ষণ করে। এরআগে দুপুরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে অভিযুক্ত পাষণ্ড পিতাকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। এ মামলায় অপর আসামী পিতার বন্ধু আব্দুল কাদিরকে দুপুরেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে গত ১ ডিসেম্বর ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অবিযোগ উঠে পিতা ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ৭ ডিসেম্বর বিকেলে পিতা সহ দুইজনকে আটক করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-৯, সিপিসি-১ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের অভিযানিক দল। ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে কিশোরী বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় পিতাকে প্রধান আসামি করে পিতার বন্ধু সহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ।

অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার আলীনগর এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ভিকটিম কিশোরীর পিতা আব্দুল খালেক(৪০) ও তার বন্ধু একই এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে আব্দুল কাদির (৪২)।

BBS cable ad

আইন আদালত এর আরও খবর: