বায়ু দূষণ: অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
রাজধানীর বায়ু দূষণ রোধে ঢাকাসহ আশপাশের ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে ওই ৫ জেলার ডিসি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ভাচুয়ালি যুক্ত থেকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মোহাম্মদ আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বায়ু দুষণ রাজধানী ঢাকাকে বরাবরই রেখেছে শীর্ষে। ১২ ডিসেম্বের বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের প্রতিবেদনেও উঠে আসে বিশ্বের ১০০টি প্রধান শহরের মধ্যে বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকা শীর্ষে।
এর আগে বায়ুদূষণে ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশের তালিকায় উঠে আসে বাংলাদেশের নাম। যা প্রকাশ করে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা আইকিউএয়ার।
বায়ু দূষণ রোধে বারবার উচ্চ আদালত নির্দেশনা দিলেও তা কমানো যায় নি। এ অবস্থার অবসানে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ বিষয়টি আবরও আদালতের নজরে আনে। শুনানি শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকাসহ পাশ্ববর্তী জেলার ৫ ডিসির কাছে অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট।
রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, "ঢাকার বয়ূদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চার দফা নির্দেশনা চেয়েছিলাম আমরা। তারমধ্যে ছিল, জেলা প্রশাসকসহ অন্যরা যারা কাজ করছেন তারা তাদের রিপোর্ট আদালতে দেওয়ার জন্য, গত দুই মাসে তারা কী করেছেন, মোবাইলকোর্ট করেছেন কি না এই সমস্ত তথ্য চেয়েছিলাম। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে এই বিষয়টি মন্তব্য করেছেন যে বার বার আদেশ দেওয়ার স্বত্ত্বেও ঢাকার বায়ূদূষণ নিয়ন্ত্রণে আসছেনা। তাই আদালত জরুরী বিবেচনা করে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি চুড়ান্ত শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে।"
শুনানিতে বায়ু দুষণ রোধে ঢাকা উত্তর সিটির তৎপরতা জানায় তারা। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ বলেন, " যতটুকু মেজার নেওয়া দরকার আমরা তা নিচ্ছি, ঢাকার বাইরে থেকে যে দূষণ হচ্ছে সেটিই ঢাকায় ঢুকছে।"
ঢাকার বাযু দুষণ রোধে জরুরী পদক্ষেপে ১৫ ফেব্রুয়ারি চুড়ান্ত নির্দেশনা আসবে বলে আশা আইনজীবীদের।