বরখাস্ত ডিআইজি মিজান ও বাছিরের কারাদণ্ড
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
ঘুষ লেনদেনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে একটি ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে পৃথক দুটি ধারায় পাঁচ বছর ও তিন বছর করে মোট আট বছরের কারাদণ্ড এবং ৮০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি) বুধবার এ রায় দেন। সবাইকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। বাছিরের দুটি ধারায় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে তাঁকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এর আগে বুধবার সকালে আসামি বাছির ও মিজানকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায়ের দিন ধার্য করেন। গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে মিজান ও বাছিরের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দুদকের করা মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একই বছরের ৪ মার্চ দুদকের পক্ষে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ হয়। ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেছিলেন শেখ মো. ফানাফিল্যা। ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর ডিআইজি মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সরকার।
উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬-এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে বিচার চলছে। গত ২০ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন।