শিরোনাম

South east bank ad

একসময় শীতের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিলো খেজুরের গুড়

 প্রকাশ: ১০ জানুয়ারী ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মিডিয়া কর্নার

মির্জা ইয়াহিয়া:

একসময় শীতের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিলো খেজুরের গুড়। ধনী-দরিদ্র সব মানুষই গুড় ক্রয় করতো। এই গুড় দিয়ে তৈরি হতো শীতের পিঠা। আমাদের ছোটকালে দেখেছি সকালে রোদ পোহাতে পোহাতে গুড়-মুড়ি খেতো অনেকেই। এমনকি শুধু খেজুরের গুড়ও খাওয়ার চর্চা ছিলো। তাই গুড়ের বাজার তখন থাকতো জমজমাট। নিউমার্কেট থেকে আব্বা গুড় কিনে আনতেন। আম্মা নিয়মিতই বানাতেন পিঠা। আজিমপুরে আমাদের প্রতিবেশীদের বাসা থেকেও খেজুর গুড় দিয়ে পিঠাপুলি খাওয়ার ডাক পড়তো।
শীতের সময় দিনাজপুরে মামাবাড়ি বেড়াতে গেলে গুড়ের নানা পিঠার স্বাদ নিতে পারতাম। নানী যত্ন করে আমাদের জন্য পিঠা বানাতেন। এখন শীতের পিঠা আগের মতো তৈরি হয় না। তাই গুড় নিয়ে সেই উন্মাদনাও চোখে পড়ে না। তবে বর্তমানে অনলাইনে কেউ কেউ গুড় বিক্রির চেষ্টা করছেন। কেউবা ফেসবুকে গুড়ের ছবি দিচ্ছেন। বাস্তবে কিন্তু পরিস্থিতি চেঞ্জ হয়ে গেছে। সেই আগ্রহ কারও মধ্যে নেই।
গত দুই দশকে খেজুর গুড় নিয়ে আরো একটা ব্যাপারে আমি খুব হতাশ। তা হলো গুড় খাঁটি কিনা তা নিয়ে নানারকম সন্দেহ। বর্তমানে গুড়ের তুলনায় চিনির দাম কম। তাই গুড়ের বদলে চিনি-ময়দা মিশিয়ে খেজুর গুড় নামে বিক্রির কথাও শোনা যায়। অথচ আগে ব্যাপারটা ছিলো বিপরীত। চিনির দাম বেশি ছিলো নব্বইয়ের দশকের শুরুতেও।
কয়েক দিন ধরে আমার স্ত্রী খেজুর গুড় ক্রয় করতে বলছে। বাসায় হয়তো পিঠা তৈরি হবে। কিন্তু ভেজালমুক্ত গুড় কোথায় পাবো- তা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। খাঁটি ভেবে যা কিনবো, শেষ পর্যন্ত তা খাঁটি হবে কিনা- সে নিশ্চয়তা কার কাছে পাবো?

(মির্জা ইয়াহিয়া,সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান। সিটি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ, এর ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।)

BBS cable ad

মিডিয়া কর্নার এর আরও খবর: