শ্রেষ্ঠ’র জন্য বাঁচতে হবে
বেঘোরে আছি। শ্রেষ্ঠ’র মা এসে ফোনটা দিলো। তাকিয়ে দেখি মাশরফীর টেক্সট। ‘ভাই আমি আছি। তুমি ভেবো না। শ্রেষ্ঠ’র জন্য বাঁচতে হবে।’
ঝপ করে মনের বোঝা অনেকটাই কমে গেলো।
আরেকজন বনানীতে তাঁর ব্যাটের নিলামই স্থগিত করে ফেলার চিন্তা করছিল। ‘আপনি আগে বাঁচেন। এসব আমি পরেও করতে পারবো’ । মুশফিকের আবেগটা তাঁর পরিবারের সদস্যের পর সবচেয়ে বেশি চেনা আমার।
এর মধ্যে টেস্ট অধিনায়ক থেকে শুরু করে তাসকিন অনেকে ফোন দিয়ে খবর নিয়েছেন। অনেকের নাম এখন মনেও পড়ছে না! এনটিভির মালিকপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, অফিস নিয়ে একদম চিন্তা না করতে। মানিক ভাই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বিশ্রাম ছাড়া যেনো আপাতত কিছু নিয়ে না ভাবি।
যেদিন ভোররাতে লিখলাম শরীর খারাপ, ও সময়ে প্রিন্স ভাই আর সিরাজুম মনির ফোন করে পারলে তখনই চলে আসেন! মনে থাকবে এসব।
ইনবক্সে কত বার্তা এটা গুনে বলা কঠিন। আমার পরিবারের সদস্যরা একদিনে কয়েক শ’ফোন ধরে মোবাইল আরেকটু হলে ভেঙে ফেলে দিচ্ছিল!
কোনমতে শুধু বাঁচতে পারলাম। হাসপাতালে আরেকটু থাকা দরকার থাকলেও, নানা কারনেই তা ছেড়ে এখন বাসায়। তীব্র অস্বস্তি আছে বামদিক জুড়ে। কিন্তু এ ভালবাসাটা বড় স্বস্তির। জীবনে হয়ত ভুল করে কোন ঠিকক কাজ করেছিলাম। না হলে বাথরুমে যখন জ্ঞান হারিয়ে মাথা ফাটিয়ে মিনিট দশেক অজ্ঞান থাকলাম, বোধটা আর নাও ফিরতে পারতো। অজস্র দু:চিন্তা থেকে দূরে রাখতে মা-বাবা আমার হৃদয়ের গোলমালের কথা জানলেন আরো একদিন পর। এখনও সংকট পুরো কাটেনি। কিন্তু যে দু:চিন্তা আমার জন্য হাজারো ভাই, বন্ধু, শিক্ষক, সহকর্মীরা করেছেন, তাদেরকে এটুকু না জানানোটা অন্যায় হয়ে যেতো। দোয়া রাখবেন যেনো দ্রুত সেরে উঠি। এখনও বিছানা ছেড়ে দাঁড়াবার শক্তি হয়নি।
খোশ আমদেদ মাহে রমযান।
(এনটিভির ক্রিড়া সাংবাদিক বর্ষন কবির এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া)
