South east bank ad

১০ বছরের মধ্যে সব পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে: গভর্নর

 প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

১০ বছরের মধ্যে সব পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে: গভর্নর

‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশের তৈরি পোশাক খাত অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ খাতের প্রায় সব কারখানাই পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গতকাল এসব কথা বলেন। সন্ধ্যায় ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে রাজধানী একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ইবিএল ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উদ্ভাবনী, কার্যকর ও সফল উদ্যোগের স্বীকৃতি স্বরূপ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের গণমাধ্যম সহযোগী ছিল ডেইলি স্টার।

পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে গ্রিন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরিতে ‘পালকি মোটরস লিমিটেড, এনার্জি এফিশিয়েন্সি ক্যাটাগরিতে ‘সেন্টার ফর হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার ক্যাটাগরিতে ‘ড. চাষী’, ক্লাইমেট এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ক্যাটাগরিতে ‘জলের ছবি মাটির ছবি ও ক্লাইমেট অ্যাডাপ্টেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ক্যাটাগরিতে ‘ব্র্যাক মাইক্রো ফাইন্যান্স’।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সবুজ অর্থনীতি এবং টেকসই অর্থনৈতিক রূপান্তরের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের বিশাল সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের এটি করতেই হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ আমাদের আর্থিক খাত উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা এবং বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের গতি কাজে লাগিয়ে এ রূপান্তরকে এগিয়ে নিতে পারবে।’

তিনি আরো উল্লেখ করেন, যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে দায়ী নয়, বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে দেশটি নির্গমন নিয়ন্ত্রণে তার অবদান বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পোশাক খাত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার প্রচেষ্টায় অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। সনদপ্রাপ্ত সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা এরই মধ্যে ২০০ ছাড়িয়ে গেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ এবং তাদের গুণগত মানও চমৎকার। এ কারণে আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ খাতের প্রায় সব কারখানাই পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী। ছাদে থাকা নিজস্ব সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের বিদ্যুতের চাহিদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ করবে যোগ করেন তিনি।

গভর্নর আরো বলেন, ‘সরকারও সবুজ অর্থনীতির প্রতি পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য আমরা এরই মধ্যে একটি সুদৃঢ় কৌশল গ্রহণ করেছি। আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও আমি আশাবাদী যে ব্যাংক, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একসঙ্গে কাজ করলে এ রূপান্তর আরো মসৃণ, দ্রুত ও লাভজনক হবে।’

নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ আসবে এ লক্ষ্যের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে গভর্নর বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে এ লক্ষ্য অর্জিত হবে। এটি সম্পন্ন হতে আরো ১০ বছর লাগতে পারে, তবে এটি অবশ্যই অর্জনযোগ্য সম্ভবত আরো দ্রুত।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার, জার্মান রাষ্ট্রদূত অখিম ট্রস্টার, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ব্রিকস মোলার, ইউএনডিপির ডেপুটি-রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালী দয়ারত্নে প্রমুখ।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: