নিজে রান্না করে এতিম শিশুদের খাওয়ালেন এসপিপত্নী
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
কারও বাবা নেই, কারও নেই মা। আবার কেউ কেউ মাতৃ-পিতৃহীন। এমন শিশুদের ঠিকানা হয়েছে মাটিরাঙ্গা আল-ক্বারিম মহিলা হাফেজিয়া মাদরাসা। এসব শিশুর সঙ্গে দুপুরের খাবার ভাগ করে খেলেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারের স্ত্রী ও জেলা পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভাপতি রেহানা ফেরদৌসী।
বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে নিজের হাতে রান্না করা খাবার নিয়ে মাটিরাঙ্গা আল-ক্বারিম মহিলা হাফেজিয়া মাদরাসায় হাজির হন রেহানা ফেরদৌসী। সেখানকার শিশুদের সঙ্গে স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তিনি।
পরে রেহানা ফেরদৌসি এতিম শিশুদের মাঝে ফলমূল ও বস্ত্র বিতরণ করেন এবং তাদের সুখ-দুঃখের কথা শোনেন। যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকারও প্রত্যয়ের কথা জানান তিনি।
রেহানা ফেরদৌসীর হাতের রান্না করা পোলাও, গরুর মাংস, মুরগির রোস্ট ও ডিম কারি পেয়ে বেশ খুশি আল-ক্বারিম মহিলা হাফেজিয়া মাদরাসার ওই এতিম শিশুরা।
এ বিষয়ে মাদরাসাটির সভাপতি মো. আবদুল কাদের বলেন, এতিম শিশুদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে এসপিপত্নী উদার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
মাদরাসার হেফজখানার পরিচালক মোহাম্মদ কাউছার বলেন, পুলিশ সুপার পরিবার নিয়ে এতিম শিশুদের সঙ্গে খেতে আসবেন তা কল্পনাও করিনি। এটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এমন আয়োজনের জন্য আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদের নেক হায়াত দান করবেন।
এসপিপত্নী রেহানা ফেরদৌসি বলেন, আমরা সবসময়ই বিভিন্ন ধরনের খাবার খাই। কিন্তু পিতা-মাতাহীন এসব শিশুর মুখে এসব খাবার জোটে না। এ কথা চিন্তা করে নিজের হাতে রান্না করে তাদের সঙ্গে খেয়েছি। পর্যায়ক্রমে পুনাকের মানবিক কর্মকাণ্ডের পরিধি বিভিন্ন উপজেলায় বিস্তৃত করা হবে বলেও জানান তিনি।
পুনাকের এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নাইমুল হক বলেন, এতিমরা কারও সাহায্য নয়, তারা তাদের অধিকারটুকু পেতে চায়। যে ব্যক্তি এতিমদের মুখে খাবার তুলে দিলো, সে যেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করলো।
এসময় খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মানিকছড়ি সার্কেল) এ কে এম কামরুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান, মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।