২ পুলিশকে মারধরের পর আসামির পলায়ন, ৬ ঘণ্টা পর গ্রেফতার
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
বরিশালের উজিরপুর থানার দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করে সকালে পালিয়ে যান মিলন হাওলাদার স্বপন (৩২) নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামি। ছয় ঘণ্টা পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে আসার সময় দৌড়ে ফের পালানোর চেষ্টা করেন মিলন হাওলাদার। পরে পুলিশ ধাওয়া করে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে।
আসামি মিলন হাওলাদার স্বপন উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মুন্ডপাশা এলাকার হামিদ হাওলাদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে।
হামলায় আহত উজিরপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফারুক হোসেন ও কনস্টেবল মো. মাসুদকে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাফর আহমেদ জানান, মিলন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে, ব্যাংক ডাকাতি সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুন্ডপাশা গ্রামে অভিযান চালনো হয়। মুন্ডপাশা গ্রামের ধামসর এলাকায় তাকে ধরা হয়। এ সময় এএসআই ফারুক হোসেন ও কনস্টেবল মো. মাসুদের ওপর হামলা চালিয়ে মিলন হাওলাদার পালিয়ে যান।
হামলায় এএসআই ফারুক মাথায় আঘাত পান। এছাড়া কনস্টেবল মাসুদকে পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করা হয়। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ভর্তি করে।
জাফর আহমেদ আরও বলেন, এ ঘটনার পর মিলন হাওলাদারকে গ্রেফতারে ওই এলাকায় পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামে। দুপুর আড়াইটার দিকে আটিপাড়ার গ্রামের একটি বিলের ধানক্ষেত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের কিছু সময় পর মিলন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া করে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, গ্রেফতারের পর মিলন হাওলাদারকে বিশেষ পাহারায় তাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মিলন হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।