লাভেলোর অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধি, বিএসইসির তদন্তের নির্দেশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি বা লাভেলোর শেয়ারের দাম এবং ভলিউমের অস্বাভাবিক গতিবিধি লক্ষ্য করা গেছে। অস্বাভাবিক শেয়ার দর বৃদ্ধি সন্দেহজনক মনে করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে লাভেলোর শেয়ার লেনদেন কোনো কারসাজি বা অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসির সার্ভেল্যান্স বিভাগ।
সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার (সিআরও) কাছে পাঠানো হয়েছে। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সার্ভেল্যান্স বিভাগে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সার্ভেল্যান্স বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাছে শেয়ার লেনদেনের বিষয়টা একটু অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তাই ধারণার ওপরে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কোনো অনিয়ম বা খারাপ কোনো কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পেলে আমরা সে বিষয়ে এগোই না। অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত দলই এটার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে। অনিয়ম হলে তবেই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, এটা লক্ষ্য করা যায় যে, লাভেলোর শেয়ারের দাম এবং ভলিউম সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে, যা অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে মনে হয়। এই পরিস্থিতিতে, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে লাভেলোর শেয়ারের লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ডিএসইর লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১২ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লাভেলোর দৈনিক শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ থেকে ৫ লাখের মধ্যে। কিন্তু ১৯ সেপ্টেম্বরেও ৬ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার হাতবদল হয়। পরের কার্যদিবস রোববার একদিনেই ৩৪ লাখ ২৩ হাজার লেনদেন হয়। সোমবার কমে এলেও হাতবদল হয় ১৪ লাখ ১১ হাজার শেয়ার।
অন্যদিকে, গত ২৮ আগস্ট লাভেলোর শেয়ারদর ছিল ৭৪ টাকা ৫০ পয়সা, যা আজ সোমবার লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকায়। অর্থাৎ, এই সময়ে দর বেড়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৪ শতাংশ। তবে শেয়ারদর মাঝে আরও বেড়েছিল।