শিরোনাম

South east bank ad

মে মাসে পুঁ‌জিবাজারে সূচক কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ

 প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   শেয়ার বাজার

মে মাসে পুঁ‌জিবাজারে সূচক কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ

দেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা আরো বেড়েছে, যা তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ বছরের মে মাসে পুঁজিবাজারে নিম্নমুখিতা দেখা গেছে। এ সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৮ শতাংশ।

ইবিএল সিকিউরিটিজের মাসিক পুঁজিবাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত এপ্রিল শেষে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৯১৮ পয়েন্টে। মে শেষে সূচকটি ২৮০ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত এপ্রিলে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার লেনদেন হয়েছে। যেখানে গত মে মাসে এটি কমে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।

গত বছরের মে মাসে পুঁজিবাজারে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এছাড়া জুনে ৩ কোটি ৯০ লাখ, জুলাইতে ৫ কোটি ১০ লাখ, আগস্টে ৭ কোটি ৩০ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৫ কোটি ৬০ লাখ, অক্টোবরে ৩ কোটি, নভেম্বরে ৪ কোটি ২০ লাখ, ডিসেম্বরে ৩ কোটি ৬০ লাখ, এ বছরের জানুয়ারিতে ৩ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ৩ কোটি ৮০ লাখ ও মার্চে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে চলমান সংকট নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাজারসংশ্লিষ্টরা বৈঠক করলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর মতো দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশে সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও চলমান সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা, যা বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী বাজারে সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকছেন।

মে মাসে দেশের পুঁজিবাজারের বাজার মূলধন কমেছে ১১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত এপ্রিলে বাজার মূলধন ছিল ৫ হাজার ৩৮১ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা মে মাস শেষে ৫ হাজার ২৬৬ কোটি ৭০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ বছরের মার্চে জিডিপি ও বাজার মূলধনের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশে।

বিশ্বের অন্যান্য প্রধান পুঁজিবাজারের তুলনায় গত মে মাসে দেশের পুঁজিবাজারের পারফরম্যান্স ছিল নিম্নমুখী। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার পুঁজিবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। অন্যদিকে গত মে মাসে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছিল নিম্নমুখী। এর মধ্যে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছিল সবচেয়ে পিছিয়ে।

গত সপ্তাহের বাজার পরিস্থিতি: গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে সূচক‌ ও দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৪ হাজার ৭৮৫ পয়েন্ট। ডিএসইতে গত সপ্তাহে ছয় কার্যদিবসে মোট ২ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহের ছয় কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৩ হাজার ৩৮৫ পয়েন্ট। সিএসইতে গত সপ্তাহে ৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যেখানে লেনদেন ছিল ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

দরপতনের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা আরো বেড়েছে, যা তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ বছরের মে মাসে পুঁজিবাজারে নিম্নমুখিতা দেখা গেছে। এ সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৮ শতাংশ।

ইবিএল সিকিউরিটিজের মাসিক পুঁজিবাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত এপ্রিল শেষে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৯১৮ পয়েন্টে। মে শেষে সূচকটি ২৮০ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত এপ্রিলে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার লেনদেন হয়েছে। যেখানে গত মে মাসে এটি কমে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।

গত বছরের মে মাসে পুঁজিবাজারে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এছাড়া জুনে ৩ কোটি ৯০ লাখ, জুলাইতে ৫ কোটি ১০ লাখ, আগস্টে ৭ কোটি ৩০ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৫ কোটি ৬০ লাখ, অক্টোবরে ৩ কোটি, নভেম্বরে ৪ কোটি ২০ লাখ, ডিসেম্বরে ৩ কোটি ৬০ লাখ, এ বছরের জানুয়ারিতে ৩ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ৩ কোটি ৮০ লাখ ও মার্চে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে চলমান সংকট নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাজারসংশ্লিষ্টরা বৈঠক করলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর মতো দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশে সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও চলমান সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা, যা বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী বাজারে সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকছেন।

মে মাসে দেশের পুঁজিবাজারের বাজার মূলধন কমেছে ১১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত এপ্রিলে বাজার মূলধন ছিল ৫ হাজার ৩৮১ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা মে মাস শেষে ৫ হাজার ২৬৬ কোটি ৭০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ বছরের মার্চে জিডিপি ও বাজার মূলধনের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশে।

বিশ্বের অন্যান্য প্রধান পুঁজিবাজারের তুলনায় গত মে মাসে দেশের পুঁজিবাজারের পারফরম্যান্স ছিল নিম্নমুখী। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার পুঁজিবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। অন্যদিকে গত মে মাসে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছিল নিম্নমুখী। এর মধ্যে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছিল সবচেয়ে পিছিয়ে।

গত সপ্তাহের বাজার পরিস্থিতি: গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে সূচক‌ ও দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৪ হাজার ৭৮৫ পয়েন্ট। ডিএসইতে গত সপ্তাহে ছয় কার্যদিবসে মোট ২ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহের ছয় কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৩ হাজার ৩৮৫ পয়েন্ট। সিএসইতে গত সপ্তাহে ৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যেখানে লেনদেন ছিল ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

BBS cable ad