ঝালকাঠিতে দরিদ্র বৃদ্ধের দোকান ভাঙচুর, জমির গাছপালা কেটে ফেলার অভিযোগ
মোঃ রাজু খান (ঝালকাঠি):
ঝালকাঠির রাজাপুরে আবদুস ছোবাহান নামে এক বৃদ্ধের দোকান ভাঙচুর ও জমির গাছপালা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বড়ইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলমগীর মাসুদ, তঁার ছেলে মো. রানা ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এ হামলা ও ভাঙচুর চালান। ওই বৃদ্ধের পরিবারকে ঘর থেকে বের হলে খুন করে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেন হামলাকারীরা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এ পরিবারটি। মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বৃদ্ধের ছেলে মো. নুরুজ্জামান হাওলাদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, রাজাপুর উপজেলার পালট গ্রামে বাড়ির পাশে তঁার বাবা একটি দোকান নির্মাণ করে পান-শুপারির বিক্রি করতেন। দোকানটি অনেক পুরনো হওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল মেরামতের জন্য মিস্ত্রীসহ মালামাল নিয়ে আসেন। এ খবর শুনে বড়ইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলমগীর মাসুদ ও ছেলের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন ভাড়াটে লোকজন দোকানটি ভাঙচুর করে। তারা মেরামতের জন্য আনা মালামাল নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করলে তঁার বাবা আবদুস ছোবাহানকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আলমগীর মাসুদ দলবল নিয়ে তাদের বসত বাড়ির পাশের জমিতে রোপিত গাছপালা কেটে ফেলে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন নুরুজ্জামান। এ ব্যাপারে ১৮ এপ্রিল রাজাপুর থানায় একটি অভিযোগ দিলে হামলাকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ির সামনে মহড়া দেয়। বাড়ি থেকে বাইরে বের হলেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কোন রকমের পালিয়ে ঝালকাঠি এসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলেও জানান নুরুজ্জামান। এখন বাড়িতে ফেরাও তঁার জন্য নিরাপদ নয়, আলমগীর মাসুদ ও তার ছেলে রানা ভয়ে তাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলমগীর মাসুদ বলেন, সারা দেশের মিডিয়ায় যত পারেন আমার বিরুদ্ধে লিখে দেন। নুরুজ্জামান যা বলেছে তার চেয়ে বাড়িয়েও লিখতে পারেন ।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে একজন এসআইকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযোগকারীকে নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।